তারকার বাড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢুকে গেল এক আততায়ী। তারকাকে আহত করে উঠে এলো খবরের শিরোনামে। সাইফের (Saif Ali Khan) পরিবার থেকে সমস্ত ঘটনা লুকানোর চেষ্টা করা হলেও পাপারাজ্জিদের হাত থেকে নেই। সইফ-করিনার ছোট ছেলের পরিচারিকা (nanny) ও সেই রাতের অটোচালকের (auto driver) মাধ্যমে প্রকাশ্যে এল সেই রাতে কি হয়েছিল। এবং তারপর কিভাবে হাসপাতালে পৌঁছলেন শর্মিলা-পাতৌদি পুত্র।
সেইফ কারিনার ছোট ছেলে জেহ-র (Zeh) দেখভাল করেন এলিয়াম্মা ফিলিপ্স। সেই রাতে জেহ-র ঘরে শব্দ শুনে তিনিই প্রথম গিয়ে আততায়ীকে দেখতে পান। সেই মুহূর্তে জেহ-কে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে আততায়ী প্রথম তার ওপর হামলা চালায়। সেই সুযোগে ছোট জেহ কাঁদতে কাঁদতে পালিয়ে যায়।
ছোট ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনেই হয়তো সইফ (Saif Ali Khan) ও কারিনা (Kareena Kapoor) নিজেদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরই ঘটে সেই রোমহর্ষক ঘটনা যেখানে সাইফ আলি খানকে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে কোপায় আততায়ী।
বাড়ির পিছনের সিঁড়ি দিয়ে আততায়ী পালিয়ে যাওয়ার পরই পরিবারের এক মহিলা দৌড়ে গিয়ে রাস্তায় চলমান একটি অটো রিকশাকে দাঁড় করান। বাবাকে নিয়ে ছোট্ট তৈমুর (Taimur) ও পরিবারের আরো দুই সদস্য সেই অটোতে করেই রওনা দেন লীলাবতী হাসপাতালের দিকে। অটোচালক ভজনলাল সিং রানা প্রথমটা খেয়ালই করেননি তাঁর গাড়িতে কে আছে। শুধু ভেবেছিলেন আহত মানুষকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পৌঁছে দিতে হবে।
হাসপাতালে পৌঁছে রক্তাক্ত সাইফ (Saif Ali Khan) নিজেই হাসপাতাল কর্মীদের কাছে স্ট্রেচার (stretcher) নিয়ে আসার কথা বলেন। এবং নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন আমি সইফ আলি খান। ভজনলাল তখন বুঝতে পারেন তাঁর অটোর সওয়ারি হয়ে এতক্ষণ ছিলেন ছোটে নবাব। বর্তমানে বিপদমুক্ত সইফ, জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকরা।
–
–
–
–
–
–