মাসের পর মাস আর জি কর মামলা চলাকালীন এক শ্রেণির চিকিৎসক সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করেছেন তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার জন্য। শনিবার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Rai) আর জি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পরে স্পষ্ট হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister), রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) যে সদিচ্ছা নিয়ে আর জি করের নারকীয় ঘটনার বিচার দাবি করে অপরাধীর ফাঁসির শাস্তি দাবি করেছিলেন, তা কতটা সঠিক ছিল। উপরন্তু শনিবার রায় ঘোষণার পরেও এক শ্রেণির চিকিৎসক বিচার ব্যবস্থার উপর আঙুল তুলে ফের পথে নামেন। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, যারা প্রশ্ন আছে দাবি করছেন তাঁরা মানুষকে গুলিয়ে দিতে চাইছেন।
পাঁচ মাস ধরে নানা দাবিতে রাজ্য, রাজপথ অশান্ত রাখার প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছে একশ্রেণির চিকিৎসকরা। শনিবার বিচারক (Judge) অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার পরে যেখানে নির্যাতিতার বাবা-মা ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিচারককে, সেখানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে ব্যস্ত চিকিৎসকদের একাংশ। সেখানেই তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিরা মিথ্যেবাদী, শনিবারের রায় সেটাই প্রমাণ করেছে। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট করে দেন, প্রথমত, সিবিআই (CBI) তদন্তে কলকাতা পুলিশের তদন্তই মান্যতা পেয়েছে। সেই সঙ্গে আজ প্রমাণ হল বিচার চলছিল প্রথমদিন থেকেই। দ্বিতীয়ত, বিচার কবে পাব, বিচার হচ্ছে না কেন বলে কিছু লোক মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বিচার হচ্ছে না বলে যারা দাবি করেছিলেন তারা মিথ্যেবাদী প্রমাণিত। তৃতীয়ত, গত দুতিন ধরে আরও প্রশ্ন আছে বলে সঞ্জয় রায়ের অপরাধ লঘু করার চেষ্টা চলেছে।
যেখানে রাজ্যের একের পর এক নারকীয় ঘটনায় রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) তৎপরতার সঙ্গে দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে। মাটিগাড়া থেকে গুড়াপের ঘটনা তার প্রমাণ। সেখানে সিবিআই পাঁচ মাস ধরে কলকাতা পুলিশেরই (Kolkata Police) তুলে দেওয়া অপরাধীকে দোষী হিসাবে তুলে ধরতে পেরেছে। এরপরেও শনিবার আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠা জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা ‘প্রশ্ন’ তুলেছেন। পাল্টা তাঁদের কুণালের জবাব, যারা যারা আজ বলছে প্রশ্ন আছে প্রত্যেকে আইনিভাবে সুপ্রিম কোর্টে সেই সব প্রশ্ন তুলেছেন। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বক্তব্যকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি। ব্যক্তিগত, পেশাগত, গোষ্ঠী রাজনীতি, রাজনীতির ইচ্ছাগুলো চরিতার্থ করতে গিয়ে মানুষকে গুলিয়ে দিতে চেয়েছে। এই অপচেষ্টা মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
সোমবার দুপুরে যখন সাজা ঘোষণা হবে আর জি কর (R G Kar) মামলার, তখন রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে ফাঁসির সাজাই প্রত্যাশা করা হবে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির উল্লেখ করে সেখানেও যেভাবে ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়েছে, তার উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পরিষ্কার বলেছেন আমরা ফাঁসি চাই। এই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ শাস্তি (capital punishment) হওয়াই প্রয়োজন।
–
–
–
–
–
–
–