মাটিগাড়া থেকে গোয়ালপোখর, জঘন্য অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেবে বাংলার পুলিশ: এডিজি

0
3

রাজ্যের একের পর জঘন্য অপরাধে দ্রুত গ্রেফতার নজির তৈরি করেছে বাংলার পুলিশ (West Bengal Police)। খুন, ধর্ষণ থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একের পর এক দোষীদের গ্রেফতার থেকে সাজা ঘোষণায় গত কয়েকমাসে রাজ্যের পুলিশ যে নজির রেখেছে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও তেমনটা দেখা যায়নি। সম্প্রতি মুম্বইতে সইফ আলি খানের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় তিনদিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি অপরাধী। সেখানে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে (Goalpokhar) পুলিশের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় তিনদিনের মধ্যে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত সাজ্জাক আলম। সম্প্রতি পরপর চারটি ধর্ষণ-খুনের ঘটনাতেও একইভাবে যে কোনও অপরাধেই জঘন্য অপরাধীদের কড়া হাতে শাস্তি দিতে তৎপর রাজ্য পুলিশ।

বুধবার অপরাধী সাজ্জাক পুলিশের উপর হামলা চালানোর পর থেকেই বিশেষ দল গঠন করে তাকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম (special team), এসটিএফ (STF), বিশেষজ্ঞ এজেন্সি (specialised agency) এলাকায় নজরদারির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় খোঁজ চালাচ্ছিল বলে জানান জাভেদ শামিম (Jawed Shamim, ADG, Law & Order)। শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ কীচকতলা ব্রিজের কাছে সাহাপুর এলাকায় সাজ্জাককে দেখতে পাওয়া যায়। সেই মতো ডিআইজি রায়গঞ্জ রেঞ্জ সুধীর নীলকান্তমের (Sudheer Kumar Neelakantam) নেতৃত্বে আটজনের একটি বিশেষ দল সাজ্জাককে ধরতে যায়। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু সাজ্জাক পাল্টা তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি (firing) চালায়। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। সেই গুলিতেই জখম হয় সাজ্জাক আলম।

তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের দাবি, সাজ্জাকের ঘাড়ের কাছে একটি, পিঠে একটি ও পায়ে একটি গুলি (bullet injured) লাগে। ঘটনায় কোনও পুলিশকর্মী প্রাথমিকভাবে আহত হননি বলে জানান এডিজি আইনশৃঙ্খলা। তবে বুধবার ঘটনার দিন সাজ্জাকের সঙ্গে আরেক যে অপরাধী ছিল তার খোঁজ এখনও চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই সাজ্জাক কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল ও কী তার পরিকল্পনা ছিল, তার অনেকটাই তদন্ত করে সামনে এসেছে রাজ্য পুলিশের। সেখানেই উঠে এসেছিল বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সাজ্জাক।

গোয়ালপোখরের ঘটনায় যেভাবে তিনদিনের মধ্যে অপরাধীকে এনকাউন্টারে যে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে রাজ্য পুলিশ তার প্রতিফলন সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে গোয়ালপোখরের আদালতে সেই দিন কর্তব্যরত তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সাফল্য তুলে ধরে এডিজি (Jawed Shamim, ADG, Law & Order) এদিন জানান, রাজ্য পুলিশ চেষ্টা করে তাদের সর্বোচ্চ দেওয়ার। এবং যারা যারা জঘন্য অপরাধে দোষী তাদের আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া। কড়া হাতেই শাস্তি দেবে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ। এটা একেবারেই বিরল। যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে অন্য কোনও রাজ্য পুলিশ বা কোনও ইউনিটের এই সাফল্য আছে কিনা পরপর চারটি মামলায় ফাঁসির সাজা হয়েছে। এর মধ্যে মাটিগাড়া, জয়নগর, ফরাক্কা ও গুড়াপের ঘটনা। পুলিশ সমাজের অংশ। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও দোষীর শাস্তির মধ্যে দিয়ে বিচার পান আক্রান্তরা।