শনিবার রায়দান আর জি কর মামলার: দোষী সঞ্জয় রায়ের শাস্তি প্রত্যাশা তৃণমূলের

0
3

এক নারকীয় সামাজিক অপরাধ ঘুম কেড়ে নিয়েছিল গোটা রাজ্যের। জাত-ধর্ম-লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষ পথে নেমেছিলেন প্রতিকার ও শাস্তি চেয়ে। রাজ্যের সরকারও একদিকে তৎপরতার সঙ্গে আর জি কর খুন ও ধর্ষণের (R G Kar case) দোষীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শেষ করেছিল। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ দমন করতে তৈরি হয়েছে অপরাজিতা বিল। শনিবার বাংলার বহু প্রতীক্ষিত সেই নারকীয় ঘটনার রায়দান (conviction) শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court)। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সিভিক ভলান্টিয়ার (civic volunteer) সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ও (CBI) চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয়কেই রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) বিচারক অনির্বাণ দাসের হাতে রায়দান এই মামলার। রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকেও বারবার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছিল। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই, একটা সামাজিক অপরাধ বিকৃত মনস্ক পৈশাচিক অপরাধ। আশা করছি রায় যখন ঘোষণা হবে সঞ্জয় রায়কে আদালত দোষী সাব্যস্ত (conviction) করবেন। এবং পরের ধাপে ফাঁসির (hanging) সাজা ঘোষণা করবেন বলে আমরা আশাবাদী। প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এই ধরনের অপরাধে ফাঁসির সাজা উচিত।

দীর্ঘ কয়েক মাসের রুদ্ধদ্বার বিচারপ্রক্রিয়ায় কী রায় হয়, অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা বাংলা। তবে শনিবার রায়দানের আগেও কার্যত পৈশাচিক অপরাধকে একশ্রেণির চিকিৎসকরা প্রতিবাদের মাধ্যম হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নজরদারিতে যে বিচার প্রক্রিয়া চলছে, তার রায়দানের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (central investigating agency) তদন্তে প্রশ্ন তুলে নতুন নাটকের চেষ্টা চলছে বলে দাবি তৃণমূলের। সেখানেই কুণাল ঘোষের দাবি, যে চিকিৎসকরা বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে তুলে আদালতে নাটক করতে যাচ্ছেন তারা এই ধর্ষক এবং খুনিকে সমর্থন করছেন। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, দ্রুত বিচারের কথা যারা বলেছেন তারা রায় ঘোষণা দিন নাটক কেন করতে যাচ্ছেন? তাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সব পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, সেখানে সব বলার সুযোগ ছিল। সেখানে কেন বলেননি?

বারবার একশ্রেণির মানুষ বামদের সমর্থনে যেভাবে আর জি কর মামলা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেছে তাতে বামেদের উদ্দেশ্য নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তিনি জানান, আপনাদের বলার বিষয়বস্তুর মধ্যে সারবত্তা নেই তাই সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেননি। এদের জন্যই এই ধরনের অপরাধীরা সমর্থন পেয়ে যায়। বামেরা স্পষ্ট বলুন, সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি তাঁরা চান – হ্যাঁ কি না?