কলকাতা পুলিশ ও প্রশাসনের সচেতনতায় সাড়া দিয়ে শহরে পথ দুর্ঘটনা সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। সেই সংখ্যাটা শূন্য করার লক্ষ্যে বাসে ব্লাইন্ড স্পট মিরর লাগানোর পরামর্শ কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের (Kolkata Traffic Police)। শুক্রবার মহাজাতি সদনে হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ড ও জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের যৌথ উদ্যোগে বাস মালিক ও ড্রাইভারদের সঙ্গে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানেই এই পরামর্শ দেন ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলের OC প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী (Prasejit Chakraborty)। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ছাড়াও ছিলেন এসিপি ট্রাফিক পল্লব হালদার, হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী (Souvik Chakraborty) ও জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের ওসি শতদল ভট্টাচার্য। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে বাস চালকদের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
কলকাতা শহরে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যায় কম হলেও, সেই তালিকায় সামনের সারিতে থাকে বাস দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাস চালকদের সচেতন হয়ে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেন ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলের ওসি। তিনি বলেন, বাসে বেশ কিছু ব্লাইন্ড স্পট থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বাসচালকরা পথচারীদের গতিবিধি বুঝতে পারেন না। সেক্ষেত্রে বাসে ব্লাইন্ড স্পট মিরর লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, শতকরা ৯৫ জন বাস ড্রাইভার অত্যন্ত ভালো গাড়ি চালান। বাকি ৫জনের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। সিগনাল ভাঙা, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, রেষারেশি ইত্যাদি কিছু কারণ রয়েছে দুর্ঘটনার। কিন্তু ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের উদ্যোগে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি চালু হওয়ার পরে নাগরিক সচেতনতা বাড়ে।
আরও খবর: বড়সড় বিতর্কে ইন্ডিগো , ৫ ঘণ্টা ধরে বিমানে চিপস-বিস্কুট দিয়ে দায় সারল কর্তৃপক্ষ!
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে বাস মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথোপকথন করেন ট্রাফিক পুলিশের (Kolkata Traffic Police) আধিকারিকরা। সেই আলোচনা পর্বে বাস মালিকরা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ জানান। আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযোগ প্রমাণ বলে অভিযুক্ত সার্জেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–