কেন্দ্রীয় সরকারি ১৫ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংগঠনের নিশানায় মোদি সরকার। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টার্ন রেলওয়ে, মেট্রো রেলওয়ে থেকে শুরু করে আইআইটি, আইএসআই-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সরকারি নীতির বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দাগলেন তারা। এদিন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রের খামখেয়ালি নীতি, শ্রমিকদের বঞ্চনা ও রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয় তুলে ধরেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার মুখে পড়া এই রাজ্যের কথা বারংবার উঠে আসে। এরই পাশাপাশি, রেল থেকে সেইল, এলআইসি থেকে হলদিয়া বা কলকাতা বন্দরের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথাও আলোচনা হয়। এই সমস্ত সংগঠনগুলির কর্মীরাও যে বঞ্চনার মুখে পড়ছেন সে কথা তুলে ধরা হয়। এমনকী, কর্মী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে যে কেন্দ্র সরকারের একেবারেই খেয়াল নেই, কেন্দ্রীয় সরকার নিজের তৈরি করা শ্রম আইনই যে মানছে না সে কথাও উল্লেখ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা উল্লেখ করেছেন। শুধু তা-ই নয় কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করার কোনও চেষ্টাই যে কেন্দ্রীয় সরকারের নেই, বেসরকারিকরণের দিকেই কেন্দ্রের নজর বেশি সে কথা তিনিও বারংবার উল্লেখ করেছেন। দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলই বিএসএনএল-এ কর্মী অসন্তোষ, এলআইসি বিপুল শেয়ার আদানির কাছে বিক্রি করে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক পতাকার তলায় না হলেও এতগুলি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা একজোট হয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–