আরও গতি পেল কৃষক আন্দোলন। বুধবার পাঞ্জাবের আরও ১১১ জন কৃষক দাল্লেওয়ালের সঙ্গে শুরু করেছেন আমরণ অনশন৷ ফলে আরও চাপে পড়ে গেল মোদির সরকার। অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কৃষক অসন্তোষ এবং তাঁদের বিভিন্ন সমস্য নিয়ে রিপোর্ট তৈরির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষিমন্ত্রকের পদস্থ আমলাদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ টিম।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফের বাড়ছে কৃষক অসন্তোষ৷ পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আবার নিজেদের দাবি পূরণের লক্ষ্যে রাস্তায় নেমেছেন কৃষকরা৷ পাঞ্জাবে লাগাতার অনশন করছেন কৃষক নেতা জগজিত্ সিং দাল্লেওয়াল৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ গত ৫১ দিন ধরে লাগাতার অনশন করছেন কৃষক নেতা জগজিত্ দাল্লেওয়াল৷ এদিকে দু সপ্তাহের মধ্যেই সংসদে পেশ করা হবে সাধারণ বাজেট৷ তার আগে ক্রমবর্ধমান কৃষক অসন্তোষের জেরে মারাত্মক চাপে মোদি সরকার৷ কোন পথে হেঁটে কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমন করা যাবে, তার উপায় খুঁজতে গিয়েই কার্যত দিশেহারা মোদি সরকার৷ উত্পাদিত ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি গ্যারান্টি আইন প্রণয়ন, চাষের প্রয়োজনে ব্যবহূত বিদ্যুতের মাশুল হ্রাস, কৃষকদের উপরে চলতে থাকা মামলা প্রত্যাহার সহ একাধিক দাবিপূরণ না হলে কৃষকরা পথ ছাড়বেন না, এটা বুঝেই বিপাকে মোদি সরকার৷
এই পরিস্থিতিতে এবার দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কৃষকদের সমস্যা কি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়ন কতদূর হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, রাজ্যে কৃষক অসন্তোষ থাকলে তার কি অবস্থা, এই সব বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করতে শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ দিল্লিতে সরকারি সূত্রের দাবি, বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এস রুকমনিকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তিনি মিজোরামের কৃষি ক্ষেত্র জনিত সমস্যা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষস্তরে রিপোর্ট পাঠাবেন বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক সূত্রে।
আরও পড়ুন- নতুন দায়িত্বে মোশারফ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান হলেন ইটাহারের বিধায়ক
_
_
_
_
_
_
_
_