মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প বীরভূমের দেউচা পচামিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে এই কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার নির্দেশের পরই নবান্নের তরফ থেকে নেওয়া হল সবথেকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করার পরদিনই বীরভূমে গিয়ে দেউচা পচামি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করে আসেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান পিবি সেলিম-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তারপরই শুরু হয় তৎপরতা। এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প থেকে কয়লা উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করতে ডাকা হয় গ্লোবাল টেন্ডার। এই এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট বা দরপত্রের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। রাজ্য সরকার ভূতাত্ত্বিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গ্লোবাল ইওআই ডেকে জানায়, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমে।
দেউচা পচামিতে ৩৪০০ একর জমিজুড়ে এশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লা উত্তোলন কেন্দ্র হবে। ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে এই পরিকল্পনায়। অন্তত এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই আন্ডারগ্রাউন্ড কোল মাইনিং দ্রুত শুরু করার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব-বিদ্যুৎসচিবরা। সেই বৈঠকেই জমি ও প্রকল্প সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যে ৩৭৬ একর জমিতে ব্যাসল্ট উত্তোলনের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্থা বাছাইয়ের কাজ হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে প্রাথমিক কাজ। এর থেকে ৭১.৫ শতাংশ রাজস্বও আসবে উন্নয়ন নিগমের কোষাগারে। এছাড়া ২০০০ একর জমিতে আন্ডারগ্রাউন্ড কোল মাইনিংয়ের কাজ হবে। ১০০০ একর জমিতে হবে আন্ডারগ্রাউন্ড কোল গ্যাসিফিকেশন। তিনটি ক্ষেত্রের কাজই একসঙ্গে চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তাই মাইন ডেভেলপার কাম অপারেটর নির্বাচনের লক্ষ্যে দরপত্র যাওয়া হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































