রাজ্যের সব ধরনের পাশে যথা সম্ভব দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। একদিকে যখন রাজ্যের নেওয়া নারী ও শিক্ষার্থী-যুব সম্প্রদায়ের জন্য় প্রকল্পগুলি দেশের গণ্ডির বাইরে স্বীকৃতি পাচ্ছে, তখন পিছিয়ে নেই রাজ্যের অন্যতম মেরুদণ্ড কৃষকদের জন্য নেওয়া উদ্যোগও। ক্রমাগত বৈঠক, আলোচনার মাধ্যমে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় এবছর প্রথম দুমাসেই বিপুল পরিমাণ ধান সংগ্রহ (paddy procurement) হয়ে গিয়েছে বলে দাবি খাদ্য দফতরের (Department of Food and Supplies)। বছর শেষে সব পরিসংখ্যান ছাপিয়ে ধান সংগ্রহ সম্ভব হবে বলে দাবি খাদ্য দফতরের।
চলতি খারিফ মরসুমেই ধান সংগ্রহে নতুন নজির তৈরি হয়েছে। সহায়ক মূল্য়ে কৃষকদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ লক্ষাধিক চাষি সরকারের কাছে ধান বিক্রি (paddy procurement) করেছেন। নাম নথিভুক্ত করেছেন মোট প্রায় ২০ লক্ষ চাষি। অর্থাৎ অর্ধেক ধান সংগৃহিত হয়েছে। ধান বিক্রির পর চাষিদের অ্যাকাউন্টে (bank account) তার দাম মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে কখনও এত বেশি পরিমাণে ধান এইসময়ের মধ্যে কেনা হয়নি বলে রাজ্যের খাদ্য দফতর (Department of Food and Supplies) জানিয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই মোট ধান কেনার পরিমাণ ৪০ লক্ষ টন ছাড়িয়ে যাবে বলেও তারা আশাবাদি। নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া খরিফ (Kharif) মরশুমে গড়ে ৫৫ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এবার তার থেকে অনেক বেশি ধান সংগ্রহ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কর্মসূচির সাফল্যের জন্য খাদ্য দফতরের প্রধান সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন। মরশুমের বাকি সময়েও ধান কেনার গতি যাতে বজায় থাকে সেজন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০২৪-২৫ খরিফ মরশুমের ধান সংগ্রহ (paddy procurement) শুরু হয়েছে নভেম্বরে, চলবে আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। এই সময়ে ৬৬ লক্ষ টন ধান কেনার (paddy procurement) লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রথম দুমাসে লক্ষ্যমাত্রার ২৫ শতাংশের বেশি ধান কেনা হয়ে গিয়েছে। তাই এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান কেনা সম্ভব হতে পারে বলেই আশা করছেন খাদ্যদফতরের কর্তারা।
–
–
–
–
–
–
–
–