মেদিনীপুরে স্যালাইন-কাণ্ডের নেপথ্যে কী, নজর ঘোরাতে অন্য ইস্যু! অভিযোগ কুণালের

0
2

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইন বিতর্ক কী কিছু ঢাকা দিতে! নেপথ্যে কী? প্রশ্ন তুলে সরব তৃণমূল। সোমবার, সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, অত্যন্ত খারাপ ঘটনা। স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট দফতর দেখছে। রাজ্য সরকার তদন্ত করছে। দল এটাতে ঢুকবে না। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেরা ডিউটিতে ছিলেন কি না সেটা দেখতে হবে। এখন নজর ঘোরাতে অন্য ইস্যু!

এর পরেই বিরোধী দলনেতার অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন কুণাল (Kunal Ghosh)। বলেন, আর জি করের সময়ও বলেছিলেন, সিবিআই চাই। কিন্তু কলকাতা পুলিশ (Police) যে সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে, তদন্তভার নিয়ে CBI-ও সেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দেয় এবং সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছে। সেই দাবি প্রথমেই তুলছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপিকে (BJP) তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওরা কোথায় সিবিআই চায় আর কোথায় চায় না- সেটাই বোঝা যায় না। কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ওঁদের রাজনৈতিক এজেন্টা অনুযায়ী তদন্ত চলবে সেটা তো হতে পারে না।

পরে, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন,
“মেদিনীপুর প্রসূতির মৃত্যু।
চরম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
সরকার সম্ভাব্য সবরকম তদন্ত করছেন।
এনিয়ে কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য নয়।
তবে বিরোধীরা কুৎসা করছে। জবাব পাবে।
সেলাইন নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট আসেনি।
শুধু গাইনির ওই ওয়ার্ডেই কেন সমস্যা?
দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেরা ডিউটিতে ছিলেন কী না। এখন নজর ঘোরাতে অন্য ইস্যু।
স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রাথমিক রিপোর্ট ইঙ্গিতবাহী। দোষ থাকলে কাউকে যেন ছাড়া না হয়।
বিরোধীরা কুৎসার আগে মনে রাখুন আরজিকরে রক্তমাখা গ্লাভসের নাটক বা ডাক্তারদের ধরণায় হামলা করে তৃণমূলকে বদনাম করার অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র ছিল আপনাদের। তাই মেদিনীপুরে যে দুএকজন পদাধিকারী কদিন আগেও সরকারবিরোধী ভূমিকায় ছিলেন, তাঁদের গতিবিধিও তদন্তে থাকুক।
যারা সিবিআই চাইছে, আরজিকরের কথা মনে রাখুন, সিবিআই কলকাতা পুলিশের তদন্তকে মান্যতা দিয়েছে। আপনারাই এখন সিবিআই তদন্ত মানতে নারাজ।“

তৃণমূলের কথায়, এই কাণ্ডের আড়ালে কী আছে সেটা খুঁজে দেখতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেরা ডিউটিতে ছিলেন কি না, এখন নজর ঘোরাতে অন্য ইস্যু আনা হচ্ছে কি না-প্রশ্ন শাসকদলের। কারণ, মেদিনীপুর হাসপাতালের বেশ কয়েকজন পদাধিকারী আর জি কর-আন্দোলনে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। সিআইডি তদন্তে সব প্রকাশ্যে আসবে বলে আশা শাসকদলের।