অবশেষে ডেরায় ফিরল দক্ষিণরায়। রবিবার রাতেই ছাগলের টোপ দিয়ে মৈপীঠে খাঁচাবন্দি করা হয় বাঘটাকে (Tiger)। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে, সোমবার দুপুরে পশ্চিম সুন্দরবনের (Sundarbon) গভীর জঙ্গল ধূলিবাসানিতে ছাড়া হয়।
বাঘটি পুরোপুরি সুস্থ আছে বলে জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী ৷ যে বাঘটি (Tiger) ধরা পড়েছিল সেটি পূর্ণ বয়স্কর পুরুষ বাঘ বলে জানা গিয়েছে ৷ এই বাঘটিই বারবার লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে বনদফতর ৷ বনদফতরের প্রায় ৮০ জনের একটি দল এই অভিযানে ছিল ৷ লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘের খবর পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নিশা গোস্বামী ৷
রবিবার গভীর রাতে অবশেষে খাঁচাবন্দি করা হয় মৈপীঠের বাঘ। বারবারই একই বাঘ জঙ্গল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছিল। রবিবার সকালে কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘ আসার খবরে নজরদারি চালানোর পর জঙ্গলের চারিদিক ঘিরে দেন বনদফতরের কর্মীরা। তাতেই বাঘের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়। ঘেরা জায়গার মধ্যে পাতা হয় খাঁচা। টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছাগল। রাতেই সেই খাঁচায় অবশেষে বন্দি হয় বাঘ।
এক সপ্তাহের নধ্যে তিন তিনবার বাঘের হানা মৈপীঠে। রবিবার সকালে কিশোরীমোহনপুর এলাকায় ফের দেখা গেল বাঘের পায়ের ছাপ। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনদফতর। বাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করে জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার মত জায়গা ঘেরা হয়। তারপর খাঁচা পেতে সাফল্য আসে।
মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে বাঘ লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসায় আতঙ্ক ছড়ায়। অবশেষে বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা অবশেষে সেই বাঘকে পশ্চিম সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল ধূলিবাসানি জঙ্গলে ছাড়ে বনদফতর।
–
–
–
–
–
–