নদী পার হয়ে গঙ্গাসাগরে প্রতি বছর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। রাজ্য় সরকার পুরোপুরি নিজের দায়িত্বে সেই মেলা আয়োজন করে। এবং সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে। অথচ কেন্দ্র থেকে সেই মেলায় কোনও সাহায্যই আসে না। যেখানে মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করে উত্তরপ্রদেশের যোগি সরকার, সেখানে ঢেলে অর্থ সাহায্য করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। মহাকুম্ভ মেলা শুরু হওয়ার সঙ্গেই আর্থিক আয়োজনে অনুমান সেখান থেকে ২০ হাজার কোটির বেশি রোজগার হবে। তারপরেও সেখানে কেন্দ্রের সরকার স্পেশাল প্যাকেজ (special package) ২,১০০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে ১,০৫০ কোটি টাকার প্রথম কিস্তি ডিসেম্বরের শুরুতেই পেয়ে গিয়েছে যোগি সরকার।
রাজ্যের প্রাপ্য টাকা থেকে বারবার বঞ্চনার অভিযোগ তোলার পরেও নির্লজ্জ কেন্দ্রের মোদি সরকার কোনও সাহায্য করেনি। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব রকম পরিষেবা অব্যাহত রেখে আয়োজন করা হয় গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। মঙ্গলবার থেকে সাগরেও পুণ্যস্নানে নামবেন পুণ্যার্থীরা। অন্যদিকে সোমবার থেকে পৌষের পূর্ণিমার পুণ্যস্নান সোমবার থেকে শুরু হয়েছে প্রয়াগরাজেও। সেখানে এলাহি আয়োজনে তাক লেগে যাচ্ছে সাধারণ পুণ্যার্থীদের। পুণ্য অর্জনের থেকে বেশি যে টাকা রোজগারে নজর দিয়েছে যোগী সরকার তার প্রমাণ এবারের মহাকুম্ভ (Maha Kumbh)।
প্রয়াগরাজে (Prayagraj) মাথা গোঁজার জন্য প্রয়োজনীয় হোটেলের চাহিদা তুঙ্গে৷ শাহি স্নান শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই সব হোটেল বুকড। বিত্তশালী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের আশ্রয়ের জন্য বেশ কিছু বিলাসবহুল কুটির বা ‘হাট’ নির্মাণ করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসন ও বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে। অভিযোগ এই বিলাসবহুল কুটির গুলিও আগে থেকেই স্বনামে-বেনামে বুক করে নিয়েছেন যোগী রাজ্যের প্রভাবশালী বিজেপি নেতাদের একটা বড় অংশ৷ শুধু তাই নয়, ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে বিলি করা এই কুটিরের চাবি হাতে মেলা মাত্রই দেশি-বিদেশি সব ধরণের বিলাসদ্রব্য চলে আসবে আপনার হাতের মুঠোয়৷ এর মধ্যে থাকছে গাঁজা, দেশি-বিদেশি মদ, হুক্কা (hukkah) এমনকি ফ্রি হাই স্পিড ওয়াই ফাই (wi-fi) সুবিধাও৷
এবারের মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) আয়োজনে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ব্যয় হয়েছে ৬,৯৯০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২,১০০ কোটি কেন্দ্রের। মেলা বসার পরে যে আয়োজন সেখানে হয়েছে তাতে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (CII) অনুমান আয় হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
–
–
–
–
–
–
–