রাজ্যে চাকরিপ্রার্থী যুব সম্প্রদায়ের জন্য একদিকে রাজ্য সরকার নানা পথ খুলে চলেছে। উল্টোদিকে সরকারি চাকরির সুবিধা থেকেই যাতে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত থাকে, তার ব্যবস্থা করে চলেছে বিরোধীরা, বিশেষত বামেরা। বাম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের (Bikash Bhattacharya) দায়ের করা মামলায় ফের একবার আটকে গিয়েছেন এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী ১৬ জানুয়ারি সেই মামলার জট খুলে যাতে নিজেদের ন্যায্য কাজে যোগ দিতে পারেন তাঁরা, সেই আবেদনই তাঁরা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে একই আবেদন রাজ্যের শাসকদলেরও।
পরবর্তী শুনানির (hearing) দিনই এসএলএসটি (SLST) শারীরশিক্ষা কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের কাজে যোগদানের অনুমতি দিন কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court), আবেদন চাকরিপ্রার্থীদের। শনিবার কর্মপ্রার্থীরা তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। বৈঠকের পরে দুপক্ষের তরফেই আদালতের কাছে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। কর্মপ্রার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা সবাই যোগ্য। এই প্যানেল নিয়ে কোনো সিবিআই (CBI) নেই। রাজ্য সরকার তাঁদের স্কুল চিহ্নিতকরণের চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু এক অযোগ্য প্রার্থীর হয়ে মামলা করে বিকাশ ভট্টাচার্যরা তাঁদের নিয়োগে বাধা দিয়েছেন। নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের দীর্ঘ সময় ও মামলা লড়ার খরচ নষ্ট হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিন বৈঠকের পরে কুণাল বলেন,”মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) হস্তক্ষেপে এদের নিয়োগের জট খুলেছিল। এখন মামলা করে আটকানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীও জট খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। আইনিভাবে আদালতকে যা জানানোর, সরকার জানিয়েছেন।” যদিও বিষয়টা যে বিচারপতির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল, তাও কুণাল কর্মপ্রার্থীদের মনে করিয়ে দেন।
–
–
–
–
–
–
–