জেমির গোল! লাল-হলুদকে উড়িয়ে আইএসএলের ডার্বি ফের বাগানের

0
2

মোহনবাগান ১ (ম্যাকলারেন)

ইস্টবেঙ্গল ০

আরও একটা ডার্বি। আরও একটা হার। এটাই যেন ভবিতব্য হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের! এই নিয়ে আইএসএলে ১০ বার মোহনবাগানের মুখোমুখি হয়ে ৯টিতেই হার লাল-হলুদের! এদিনের হারের পর, সুপার সিক্সে ওঠার সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ ক্লেটনদের। ১৫ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ১১ নম্বরেই আটকে রইল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আরও একটা ধাপ এগিয়ে গেল মোহনবাগান। ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ব্যবধান (৮ পয়েন্ট) আরও বাড়িয়ে নিল জোসে মোলিনার দল।

এদিন ডেভিড লালহানসাঙ্গাকে শুরু থেকে মাঠে নামিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। পরিকল্পনা ছিল আক্রমণে লোক বাড়িয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা। কিন্তু ম্যাচের দু’মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গোলদাতা জেমি ম্যাকলারেন। পরপর দুটো ডার্বিতে গোল করা হয়ে গেল তাঁর। প্রথম মিনিটেই বিপজ্জনকভাবে লাল-হলুদ বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লিস্টন। কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন হিজাজি। কিন্তু পরের মিনিটেই ম্যাকলারেনের গোল! আশিস রাইয়ের লম্বা পাস ক্লিয়ার করতে পারেননি হিজাজি মাহের। সেই বল ধরে হেক্টর ইয়ুস্তেকে গতিতে পরাস্ত করে নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করেন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার।

৬ মিনিটেই প্রায় গোল শোধ করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। একক প্রচেষ্টায় মোহনবাগান বক্সে ঢুকে পড়ে ক্লেটনকে বল পাস করেছিলেন বিষ্ণু। দিয়ামানতাকোসের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে একা বিশালকে পেয়ে গিয়েছিলেন ক্লেটন। কিন্তু তিনি শট নেওয়ার আগেই কর্নারের বিনিময়ে বল বিপন্মুক্ত করেন টম অলড্রেড। ১১ মিনিটে ফের গোল করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন লিস্টন। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর শট হেক্টরের গায়ে লেগে কর্নার হয়। ২১ মিনিটে প্রভসুখন গিলের সৌজন্যে দ্বিতীয় গোল হজম করতে করতে বেঁচে যায় ইস্টবেঙ্গল। মনবীর সিং একা গিলকে পেয়েও সরাসরি লাল-হলুদ গোলকিপারের হাতে মারেন।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কিছুটা নড়াচড়া করছিলেন একা বিষ্ণু। ২৮ মিনিটে বল নিয়ে বক্সে ঢোকার মুখে বিষ্ণুকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন আশিস। যদিও বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি লাল-হলুদ। বিরতির ঠিক আগে অবশ্য ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর শট বক্সের মধ্যে হাতে লেগেছিল আপুইয়ার। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেননি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণের ঝড় তুলেছিল মোহনবাগান। কাউন্টার অ্যাটাকে উঠছিল ইস্টবেঙ্গলও। কিন্তু সবুজ-মেরুন বক্সে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন ক্লেটন-দিয়ামানতাকোসরা। ৬৪ মিনিটে লিস্টনকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সৌভিক (দ্বিতীয় হলুদ)। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ১০ জনে খেলতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ৬৬ মিনিটে আশিসের শট কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান গিল। ৬৮ মিনিটে ডেভিডকে তুলে নাওরেম মহেশকে মাঠে নামান অস্কার।

৭৪ মিনিটে জেসন কামিন্সের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই বক্সের মধ্যে থেকে লিস্টনের নেওয়া শট দারুণভাবে সেভ করেন গিল। এদিকে, মরিয়া অস্কার হিজাজিকে তুলে নিয়ে ৭৯ মিনিটে মাঠে নামিয়ে দেন নন্দকুমারকে। শেষ কয়েক মিনিট হঠাৎ করেই কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে মোহনবাগান। সেই সুযোগে ইস্টবেঙ্গল কিছু হাফ চান্স তৈরি করলেও কাজের কাজ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন- সাফল্যের হ্যাটট্রিক! একদিনে তিনটি চুরির কিনারা করল হাওড়া সিটি পুলিশ

_

_

_

_

_

_