দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে লাগাতার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি৷ এবার দিল্লি ভোটের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে রাজধানীর ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে সিএজি রিপোর্ট৷ এই সিএজি রিপোর্ট ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে দিল্লিতে।
মোদি সরকারের অধীনস্থ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি-র তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আম আদমি পার্টির নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকারের আবগারি নীতির জন্য সরকারি কোষাগারের ২০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে৷ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার ভোটগ্রহণ৷ তার আগেই যেভাবে এই রিপোর্ট সামনে এসেছে এবং বিজেপির নেতারা চিত্কার শুরু করেছেন, তাতে তাদের ষড়যন্ত্রকারী অভিসন্ধিই স্পষ্ট হয়েছে বলে আম আদমি পার্টির সূত্রে শনিবার দাবি জানানো হয়েছে৷
তবে এই রিপোর্টকে কার্যত তুলোধোনা করেছে আপ শিবির৷ দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সঞ্জয় সিং-র প্রশ্ন, এতদিন সিএজি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি কেন ? দিল্লি ভোটের আগে এই রিপোর্ট এল কোথা থেকে ? আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই রিপোর্টকে সুকৌশলে সামনে আনা হচ্ছে৷ আমাদের প্রশ্ন, এই রিপোর্ট কি বিজেপির অফিসে তৈরি হয়েছে ? তা না হলে বিজেপির নেতারা এই রিপোর্ট নিয়ে এত লাফালাফি করছেন কেন ? দিল্লি বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করা হয়নি, তা নিয়ে এত প্রশ্ন তোলার কি অর্থ ?
এর পাশাপাশি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে, ফের অভিযোগ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছে আম আদমি পার্টি৷ শনিবার এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগে বর্ষীয়ান আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, বিজেপি কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত দল এবং দিল্লির ভোটার তালিকা নিয়ে তারা কিভাবে কারচুপি করছে তার প্রমাণ মিলছে সহজেই৷ লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতা, প্রাক্তন সাংসদ পরবেশ ভার্মার সরকারি আবাসে মাত্র চারজন ভোটার ছিল৷ এখন এই ঠিকানায় ৩৩ জন ভোটারের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে৷ লেডি হার্ডিঞ্জ কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারে তখন মাত্র ৫টি ভোট থাকলেও এখন সেখানে ৪৪টি ভোট সংযুক্ত করণের আবেদন করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘বিকাশ-বাধা’ কাটুক ১৬ তারিখেই: আদালতকে আবেদন চাকরিপ্রার্থী ও রাজ্যের
_
_
_
_
_
_
_