দল বিরোধী কাজ-মন্তব্য। বড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। শুক্রবার তৃণমূল (TMC) থেকে সাসপেন্ড করা হল শান্তনু সেন (Shantanu Sen) ও আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam)। রোগী কল্যাণ সমিতিতে থেকেও সরানো হয়েছে ডাঃ শান্তনু সেনকে। ভিডিও বার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তৃণমূল (TMC) নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumder)।
আর জি করের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরে মুখ খোলেন শান্তনু সেন। তাঁর নিশানায় ছিলেন আর জি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সেই সময়ে সংবাদ মাধ্যমকে নানা মন্তব্য করেন শান্তনু। যার জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্যের শাসকদলকে। এর পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তনুকে। এবার দল থেকেই সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।
এদিকে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান আরাবুল। তবে তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক শওকত মোল্লার সঙ্গে বারংবার সংঘাতে জড়ান তিনি। এমনকী, তাঁর উপর হামলার অভিযোগে শওকতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন আরাবুল। ফলে ওঠে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ।
গতবছরের শেষের দিকে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকেই তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো স্পষ্ট বার্তা দেন, দলবিরোধী কাজ, মন্তব্য বা যে কথা ও কাজের জন্য দলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়- সেটা বরদাস্ত করা হবে না। দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ্ব রাখাই লক্ষ্য। সেই প্রেক্ষিতেই এই বড় সিদ্ধান্ত। ভিডিও বার্তায় তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, শীর্ষ নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
–
–
–
–
–
–