বরখার কণ্ঠে ডাবিং শতাক্ষীর, ‘খাদান’ বিতর্কে মুখ খুললেন পরিচালক সুজিত

0
2

সিনেমা এক অনন্য শিল্প। তার প্রত্যেকটা আঙ্গিকে লুকিয়ে থাকে সৃজনশীলতা। শুধু অভিনয় করলেই হলো না, অভিনয়কে যথোপযুক্ত করে তুলতে শিল্পীদের কন্ঠস্বরে উচ্চারিত সংলাপ একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে। কিন্তু চোখের সামনে যাঁকে দেখছেন আদৌ কি তাঁর গলা শুনছেন? সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘খাদান’ (Khadaan) সিনেমায় বরখা বিস্ত সেনগুপ্তের অভিনয় দেখার পর এই প্রশ্নটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিতর্ক শুরু হতেই ডাবিং শিল্পীকে প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক সুজিত রিনো দত্ত। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, অভিনেত্রী বরখা (Barkha bisht Sengupta) অবাঙালি হওয়ার কারণেই, তাঁর বলা বাংলা সংলাপ ‘যমুনা’ চরিত্রের সঙ্গে যুৎসই হচ্ছিল না। সে কারণেই অভিনেত্রী শতাক্ষী নন্দীর (Satakshi Nandi) ডাক পড়ে। ‘খাদান’ সিনেমায় বরখার চরিত্রের যা যা বলা, সবটাই শতাক্ষীর গলা।

চলচ্চিত্রে একের কণ্ঠে অন্যের ডাবিং নতুন কিছু নয়। কিন্তু ডাবিং শিল্পীরা প্রাপ্য সম্মান আর পারিশ্রমিক পাচ্ছেন কিনা সেটা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে খাদানের মত বড় হাউজের ছবি কি ব্যতিক্রমী কোনও দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারল? ফিল্ম ক্রেডিটে কি ডাবিং আর্টিস্ট বিভাগে নাম রয়েছে শতাক্ষী নন্দীর? খানিক অনিশ্চিতভাবেই পরিচালকের উত্তর, “ক্রেডিট আমরা দিয়েছি”। তবে সুজিত রিনো দত্তের গলায় সেই আত্মবিশ্বাস ধরা পড়লো না। অর্থাৎ কোথায় যেন একটা ফাঁক রয়েই গেল, হয়তো নাম আছে বা হয়তো নেই-এর দোটানায় । স্মৃতিতে ফিরল ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh) পরিচালিত ‘বাড়িওয়ালি’র বিতর্ক। কিরণ খেরের (Kiran Kher) কণ্ঠস্বর ডাবিং করে স্বীকৃতি পাননি রিতা কয়রাল। ‘খাদান’ নিয়ে সেই বিতর্ক হয়তো নেই কিন্তু এতগুলো বছর পেরিয়েও প্রদীপের নীচে আজও অন্ধকারই রয়ে গেল!