সাধুকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট! ফাঁপড়ে প্রতারকরা, চাইলেন আশীর্বাদও

0
1

ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) খবর উঠে আসছে সংবাদ শিরোনামে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্ক একা থাকা মানুষরাই এর শিকার বেশি হচ্ছেন। তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest) করতে গিয়ে ফাঁপড়ে পড়লেন প্রতারকরা। কারণ যাঁকে তাঁরা শিকার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি আশ্রমের সন্ন্যাসী। জানতে পেরে উল্টে তাঁর কাছেই আশীর্বাদ চাইলেন প্রতারকরা। সাধুবাবা বললেন, “সুবুদ্ধি হোক”।

বর্ধমানের (Bardhawan) পালিতপুরে তিব্বতি বাবার আশ্রমের সাধু অশোক চক্রবর্তী। সাধারণরত তাঁর কাছে কোনও ফোন এলে তিনি ‘ওম, নমো: শিবায়। বাবা তোমার মঙ্গল হোক’ বলে তিনি ফোন রিসিভ করেন। প্রত্যুত্তরে সাধারণত ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তিরা তাঁকে প্রণাম করে কুশল বিনিময় করেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার তেমনটা হয়নি। অশোক চক্রবর্তীর অভিযোগ, ফোন তুলতেই একটু ভারী গলায় একজন বলেন, “আপনার নামে মুম্বইয়ের (Mumbai)একটি থানায় ১৭টি কেস রয়েছে। দু’ঘণ্টা পর থেকে আপনার ফোন বন্ধ হয়ে যাবে”।

এমন কথা শুনে তাজ্জব সাধুবাবা। কিছুটা স্তম্ভিত হয়ে তিনি বলেন, “বাবা তুমি কে? আমি কোনও দিন কারও ক্ষতি করিনি। কোনও অন্যায় কাজের সঙ্গেও যুক্ত হইনি। আমার নামে কী করে এতগুলি কেস হল?”

তখনই প্রতারকরা সাধুবাবার কাছে ভিডিও কলের অনুমতি নিয়ে ভিডিও কল করেন। ভিডিও কল হতে দেখা যায় একজন পুলিশের পোশাক পরে বসে আছেন।

এরপর ওপার থেকে সাধুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার কতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে? কত সম্পত্তি রয়েছে? যে ঘরে থাকেন সেটা ঘুরিয়ে দেখান।ওপারে থাকা পুলিস আধিকারিকের কথা মতো তিনি চারদিক ঘুরিয়ে দেখাতে থাকেন। হাঁটতে হাঁটতে বলেন, আমার একটাও অ্যাকাউন্ট নেই। কোনও সম্পত্তি নেই। তবে খাবার অভাব হয় না। আশ্রমে আসা ভক্তরা সহযোগিতা করেন। এই কথা শুনে নিজেই কিছুটা হতভম্ব হয়ে পরে প্রতারক। তাঁরা বুঝতে পারেন, সাধুর থেকে কিছুই মিলবে না। তারপরেই সে বলতে থাকে, ঠিক আছে। “আপনাকে কিছু করতে হবে না।” এরপরই সাধু বলেন, তোমার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তারপর আর ফোন আসেনি।