মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত একাধিক প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে বাংলা। কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথীর মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে দেশে মডেল হয়ে উঠছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রের রিপোর্টই বলছে, স্কুল শিক্ষায় নতুন এক মাইল ফলক তৈরি করেছে বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সৌজন্যেই সরকারি ও সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের ড্রপ আউট শূন্য অর্থাৎ রাজ্যে এই মুহূর্তে কোনও স্কুলছুট নেই।
কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, প্রাথমিক স্তরে স্কুল ছুটের গড় সারা দেশে ১.৯ শতাংশ ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে স্কুল ছুটের গড় ৫.২ শতাংশ। বাংলা সেখানে শূন্যে নামিয়ে এনেছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। আর তা সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথীর সৌজন্যেই। দেশের ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে বাংলা স্কুল শিক্ষায় নয়া মাইলস্টোন তৈরি করেছে। রাজ্যের এখন উদ্যোগ, মাধ্যমিক স্তরেও স্কুল ছুটের সংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনা।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং উচ্চ প্রাথমিকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুল ছুট নেই। কিন্তু মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকে স্কুল ছুটের সংখ্যা এখনও রয়ে গিয়েছে ১৭ শতাংশ। কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পগুলিকে কাজে লাগিয়ে এক্ষেত্রেও ড্রপ আউটের সংখ্যা কমাতে হবে। সেই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
রাজ্যের এই সাফল্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নীতির কারণেই নেওয়া হয়েছে বলেই দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তিনি জানান, “ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে যেখানে এত ড্রপ আউট বাংলায় সেখানে ড্রপ আউট নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাক্ষিণ্যে, কেন্দ্র স্কুলে টাকা না দিলেও বাংলা মিড ডে মিল চালিয়ে যাচ্ছে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই রাজ্যে ড্রপ আউট নেই।”
–
–
–
–
–
–
–