কাঁটাতার বিহীন সীমান্ত দিয়েই দিনের পর দিন, রাতের পর রাত বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ। আর তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে বিএসএফের অদক্ষতা। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশের (immigration) ঘটনা বাড়ার পর সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে গিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিএসএফের (BSF) সেই অদক্ষতা। বারবার বাংলাদেশের বাধার মুখে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাংলা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ। শেষ পর্যন্ত সীমান্তের ভারতীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় কোনও কোনও জায়গায় কাঁটাতার বসাতে সক্ষম হচ্ছে বিএসএফ।
ভারত বাংলাদেশের মালদহ (Maldah) সীমান্তে দুদিন আগেই বিএসএফের কাঁটাতার বসানো শুরু হতেই বাধা দেয় বাংলাদেশের নাগরিকরা। তাদের দোসর হয় বিজিবি (BGB)। বিএসএফও বাধার মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিএসএফের সহযোগিতা এগিয়ে আসে। যদিও সেই থেকে প্রতিদিনই বাধার মুখে বিএসএফ। বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার অভিযোগ করেন সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিএসএফ প্রশাসনকে কিছুই জানাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে কাঁটাতার বসানোর কাজ। ফলে আশঙ্কায় স্থানীয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি।
তবে শুধু মালদা নয়। বারবার একাধিক সীমান্তে বাংলাদেশের বিজিবির (BGB) বাধাতে আটকে যাচ্ছে কাঁটাতার বসানোর কাজ। বিজিবি-র (BGB) বাধা যতটা প্রবল বিএসএফের (BSF) শক্তি যে ততটা নয় তা প্রমাণ হয়ে গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের শিবরামপুর এলাকায়। সেখানে কাঁটাতারবিহীন এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করতেই বাধা দেয় বিজিবি। দুপক্ষের ফ্ল্যাগ মিটিং হলেও তাতে কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি।
অন্যদিকে কোচবিহারের (Coochbihar) মেখলিগঞ্জে একইভাবে বিজিবি ও সীমান্তের ওপারের বাংলাদেশের বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়েছিল বিএসএফ (BSF)। স্থানীয় বাসিন্দারা বিএসএফের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। মেখলিগঞ্জ, বাগডোগরা এলাকায় এরপর শুক্রবার সুস্থভাবে একটা বড় অংশে কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ হয়।
পাচারের কাজ সক্রিয় রাখতেই যে বারবার বাংলাদেশের নাগরিক ও বিজিবি সীমান্তে কাঁটাতার (fencing) বসাতে বাধা দিচ্ছে, তা প্রমাণিত আরও একবার। রাতের অন্ধকারে মালদহের বামনগোলার খোটাদহ এলাকায় গরু পাচারের চেষ্টা চালায় বাংলাদেশী নাগরিকরা। পাচারকারীদের ঠেকাতে বিএসএফ BSF) গুলি চালায়। কোনও পাচারকারী ধরা না পড়লেও উদ্ধার হয়েছে আটটি ষাঁড়।
–
–
–
–
–