মহম্মদবাজারে মহিলার রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়, প্রিয়জনই খুনি !

0
1

মহম্মদবাজারে মহিলার রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ।দুষ্কৃতী হানা নয়, জমির কাদায় মুখ চেপে স্ত্রীকে খুন করে স্বামীই।ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। ওইদিন রাতে স্থানীয়রা দেখেন, রাস্তার পাশে জমিতে পড়ে রয়েছে এক যুবতীর মৃতদেহ। পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আর এক যুবক। মঙ্গলবার রাতে এই দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন মহম্মদ বাজার থানা এলাকার সালুকা গ্রামের বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে জানা যায়, সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুচিত্রা বাগদি(২০) ও তার স্বামী বছর ২২-এর সন্দীপ দাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে স্বামী-স্ত্রীর এই অবস্থা দেখে স্থানীয় কয়েক জন খবর দেন থানায়। তার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে এবং স্বামীকে ভর্তি করে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকা স্বামী পরে দাবি করেন, ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। তবে মৃতার পরিবারের দাবি, স্বামীই চক্রান্ত করে খুন করিয়ে ছিনতাইয়ের নাটক করছে।এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দীপ দাসকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপের পর মহম্মদবাজারের হিংলো গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুচিত্রার। তার পর তাদের মধ্যে ঝামেলাও হয়েছিল। এর পর থানার মধ্যস্থতায়, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মাস ছয়েক আগে মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়। দিন চারেক আগে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন সন্দীপ। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকেই বাইকে করে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই ভালুকা গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

সন্দীপের দাবি, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তার হাত-পা বেঁধে দেয়। তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে খুন করে। যদিও সুচিত্রার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে সন্দীপ। তার পর নিজের হাত-পা বেঁধে ছিনতাইয়ের গল্প সাজাচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করেন তারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুচিত্রার গলার হার, কানের দুল সবই অক্ষত ছিল। এমনকী সুচিত্রা ও সন্দীপের মোবাইল ফোনও ছিল ঘটনাস্থলেই। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য থাকলে কেন সেগুলি দুষ্কৃতীরা নেবে না, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যায় ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।