ভগবানপুর ২ ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইক্ষুপত্রিকা সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বড় জয় পেল। ১৩টি আসনেই তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। মোট ৮৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৪৬ জন ভোট দেন।তৃণমূলের এই জয়ে শুভেন্দু গড়ে বিজেপির পরাজয় আরও স্পষ্ট।সমবায় সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক শশাঙ্কশেখর জানা, যিনি সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তিনিও নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজকেই এই জয়ের কারণ হিসেবে দাবি করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব পড়ুয়া বলেন, মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে থেকেছেন এবং দলবদলকারীদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নির্বাচনে বিজেপি সবক’টি আসনে, বামফ্রন্ট ন’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু কোনও দলই হালে পানি পায়নি। বিরোধীদের পর্যুদস্ত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবিনচন্দ্র মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপসুন্দর পণ্ডা প্রমুখ। অরূপবাবু বলেন, ভগবানপুরের মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছেন এবং এখানে অন্য কোনও দলের জায়গা নেই, এটা প্রমাণ হয়ে গেল।
এই ইক্ষুপত্রিকা সমবায় সমিতির সমবায় সমিতির সম্পাদক পদে ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ–সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি শশাঙ্কশেখর জানা। তিনি সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেন। এই ঘটনাকে ভাল চোখে দেখেননি ভোটাররা। আর তাই একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল ভোটারদের মধ্যে। সেই ক্ষোভ থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই আস্থা রেখেছেন তাঁরা। তবে বিজেপি নানা চেষ্টা করেছিল এই সমবায় সমিতি জেতার জন্য। কিন্তু ভোটাররাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
এই জয়ে শীতের আমেজেও সবুজ আবির খেলেছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তবে এই জয় নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে আছেন সেটা আবার প্রমাণিত হল। ইক্ষুপত্রিকা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনেও ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসকেই দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। যারা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সমস্ত সুযোগ–সুবিধা নিয়ে দলবদল করেছেন তাদের মানুষ সমর্থন করেননি।
–
–
–
–
–
–