প্রতি বছর কুম্ভ ও গঙ্গাসাগর এই দুই মেলায় ভক্তের ঢল নামে। তবে উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলাকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সমর্থন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি কিন্তু বাংলার গঙ্গাসাগরের দিকে কোনও নজর নেই- এমনটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কড়া নিশানা করেন তিনি।বৃহস্পতিবার বিকেলে আউট্রাম ঘাট থেকে ফ্ল্যাগ নেড়ে অত্যাধুনিক ই-ভেসেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরের এখনকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন। এই প্রসঙ্গে বলতে এদিন তিনি ফের কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন।
তার বক্তব্য, কুম্ভমেলায় কেন্দ্রীয় সরকার হাজার-হাজার কোটি টাকা দেয়। অথচ গঙ্গাসাগর মেলায় এক পয়সাও দেয় না। ২০১১ সালের আগে এখানে কিচ্ছু ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন গঙ্গাসাগরে থাকার জায়গা রয়েছে।তার বক্তব্য, গত বছর প্রায় ১ কোটি মানুষ এসেছিল এই মেলায়। তা সত্ত্বেও গঙ্গাসাগর মেলাকে আজও কেন্দ্র জাতীয় স্বীকৃতি দিল না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।তার স্পষ্ট কথা, কুম্ভমেলার চেয়েও কষ্টসাধ্য গঙ্গাসাগর। কুম্ভমেলায় বাস, ট্রেনে যাওয়া যায়। কিন্তু গঙ্গাসাগরে যেতে হলে কাকদ্বীপের পর থেকে ভেসেল বা লঞ্চে করে যেতে হয়। কচুবেরিয়া থেকে ফের বাস পথে আরও ৪৫ মিনিট যেতে হয়। তবেই কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছানো যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য নিজস্ব উদ্যোগে গঙ্গার ওপর দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করছে। টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। ২-৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। চার লেনের সেতু হবে। আগামী দিনে মানুষকে আর জল পেরিয়ে গঙ্গাসাগরে যেতে হবে না।তিনি বলেন, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত কপিল মুনির আশ্রমে আসেন। আশ্রমে কিছু দান করলেও সব এখন অযোধ্যায় পাঠানো হয়।
–
–
–
–
–
–
–
–