আর জি কর-তদন্ত নিয়ে ‘ভিত্তিহীন‘ অভিযোগ তুলে ‘ফ্যাসাদে’ অপর্ণা-রিমঝিমরা!

0
1

যে দিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের (R G Kar Medical College And Hospital) নারকীয় ঘটনার বিচারপর্ব শেষ করেন রায়দানের দিন ঘোষণা করলে আদালতই, সেদিনই এই বিষয় নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন মুখ পড়লেন অপর্ণা সেন (Aprna Sen), রিমঝিম সিংহরায়রা (Rimjhim Singhroy)। রাজ্য নারী নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চিঠি দেবেন বলে বৃহস্পতিবার, সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন, রাতদখলের আহ্বায়ক রিমঝিম সিংহরায়, অভীক রায়-সহ অন্যানরা। তাঁরা মন্তব্য করেন সঞ্জয় নয়, আসল দোষী অন্য কেউ। এর পরেই সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন ওঠে, আপনারা এটা কী করে জানলেন, আপনারা কি তদন্ত করেছেন? উত্তর নেই অপর্ণাদের মুখে।

বৃহস্পতিবার, কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে অপর্ণারা (Aprna Sen) জানান, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শুনানিতে সঞ্জয়ের রাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারী নিরাপত্তার বিষয়ে নাগরিক চেতনা-র সদস্যরা রাজ্যে প্রশাসনিক প্রধানকে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর কপি পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা, পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, শিক্ষা দফতর ব্রাত্য বসু, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে দেওয়া হবে।

এদিন আরজিকরের ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে সঞ্জয় রাইকে প্রকৃত দোষী নয় বলে মন্তব্য করেন নাগরিক চেতনা-র সদস্যরা। এর পরেই প্রশ্ন ধেয়ে আসে। প্রশ্ন করা হয়, কীভাবে তাঁরা জানলেন সঞ্জয় প্রকৃত দোষী নন! তাঁরা কী আলাদা তদন্ত করেছেন, সেই তদন্তের কোনও রিপোর্ট তাঁরা জানিয়েছেন? প্রকৃত দোষী কে তাঁরা যদি জানেন, তাহলে সেটা তাঁরা প্রকাশ্যে আনছেন না কেন? এই সব প্রশ্নে কার্যত ভ্যাবাচাকা হয়ে যান অপর্ণা, রিমঝিমরা। উত্তর না থাকায় প্রসঙ্গ ঘুরে অন্য কথায় চলে যান। কিন্তু ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তাঁরা যে ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছেন, সেটা বুঝতে পারেন।