এক দেশ এক ভোট সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক: গণতন্ত্র-বিরোধী দাবি কল্যাণের

0
4

বিরোধীদের চাপের মুখে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয়নি এক দেশ এক ভোট বিল (One Nation One Election)। কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার বাধ্য হয়েছে বিলটি আবার পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি (JPC) গঠন করতে। সেই সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই এই বিল যে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক কাঠামো বিরোধী, সেই দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP)। সেই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ প্রশ্ন তোলেন এই পদ্ধতিতে কীভাবে নির্বাচনের খরচ কমবে সেই বিস্তারিত তথ্য পেশের।

বুধবার প্রথমবার বৈঠকে বসে এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election) বিল নিয়ে তৈরি যৌথ সংসদীয় কমিটি (Joint Parliamentary Committee)। ৩৯ সদস্যের এই যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ পিপি চৌধুরী। এর মধ্যে লোকসভার (Loksabha) ২৭ জন এবং রাজ্যসভার (Rajyasabha) ১২ সাংসদ রয়েছেন ৷ এদিন তৃণমূলের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Kalyan Banerjee)। এক দেশ এক ভোট নিয়ে লোকসভায় নিজের বিবৃতিতে কীভাবে এই আইনে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো (federal structure) ভেঙে যাবে তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কল্যাণ (Kalyan Banerjee)। এদিনও এই আইনকে গণতন্ত্রিক অধিকারের বিরোধী হিসাবে কমিটির সামনে তুলে ধরেন তিনি।

অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) প্রশ্ন করেন, কীভাবে এই আইনে খরচ কমানো সম্ভব। কারণ কেন্দ্রের সরকার এই আইন তুলে ধরতে যে খরচের হিসাব দেখিয়েছে, তা বহু পুরোনো হিসাবের সঙ্গে তুলনা করে করা হয়েছিল। ইভিএম (EVM) আসার আগে নির্বাচনে যে খরচ ছিল, তার সঙ্গে খরচের তুলনা করে এই আইন পাশ করতে চেয়েছে বিজেপি, দাবি কংগ্রেস নেত্রীর।

বিজেপির তরফে যদিও সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হয় কমিটির সামনে নিজেদের সঠিক প্রমাণ করার। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক (Ministry of Law and Justice) ১৮ হাজার পাতার তথ্য তুলে ধরে। যেখানে দেখানো হয় আইনগতভাবে এই আইন কতটা সঠিক। সেখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন এই যুক্তি দেখিয়ে আদতে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে নষ্ট করছে বিজেপি সরকার।