ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপে ফের একবার ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন খেলা শুরু। বাংলাদেশে সরকার বদলের পরে ভারতের তরফ থেকে প্রথম কূটনৈতিক দৌত্যের মধ্যে দিয়ে বন্ধুত্বের পথে পা বাড়ানো হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি তথা প্রশাসনিক প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus) ভারত বিরোধিতার পথ থেকে সরে আসেনি। যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) আমলে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছিল, সেই হাসিনাকে গ্রেফতারে মরিয়া বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকেও হাসিনাকে পূর্ণ সমর্থনের কূটনৈতিক বার্তাই দেওয়া হল।
ঢাকায় শেখ হাসিনার পাসপোর্ট (passport) বাতিলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর ভিসা (visa) বাড়াল ভারত। অর্থাৎ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৫ অগাস্ট থেকে ভারতে রয়েছেন মুজিবকন্যা। তিনি নিরাপদেই রয়েছেন। তবে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে সেই দেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার (interim government)। এই প্রসঙ্গে এখনও জবাব দেয়নি ভারত।
দেশে হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়েরের পাশাপাশি হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে নোট ভার্বাল পাঠায় ঢাকা (Dhaka)। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যার্পণের জন্য ভারতের উপর চাপ বাড়াতে মঙ্গলবার হাসিনার পাসপোর্টও বাতিল করা হয়। তবে বাংলাদেশের এই কূটনৈতিক চালকে উড়িয়ে দিল নয়াদিল্লি।
–
–
–
–
–
–
–