দুলাল খুনে গ্রেফতার দুই মূলচক্রী, ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি! জানাল পুলিশ

0
2

মালদহের কাউন্সিলর খুনের পর কেটে গিয়েছে ৬ দিন।এখনও পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৭ জন। যদিও এখনও খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি জানালেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার।এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষ করেন। বুধবার এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে। একে একে ধরা পড়ছে অভিযুক্তরা। বাবলা ওরফে দুলাল সরকার খুনে মূল অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তিনি মালদহ টাউন তৃণমূল সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি। আর এক মূলচক্রী স্বপন শর্মা। ম্যারাথন জেরার পর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বপন শর্মা কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে বোমাবাজি-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ আরও জানান, দুলালকে খুনে ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়। নরেন্দ্রনাথ ও স্বপন সুপারি দিয়েছিল। খুনের আগে বেশ কয়েকদিন রেইকি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর খুন করা হয় কাউন্সিলরকে। তবে ৬ দিন কেটে গেলেও, কী কারণে খুন হলেন কাউন্সিলর তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের খোঁজ চলছে বলেই জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, মালদহে যে খুন হয়েছে তাও কিন্তু উদ্বেগজনক। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তদন্ত চলছে, পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করেছে। যে ঘটনা ঘটেছে তা আপত্তিকর নিন্দার। পুলিশ দল মত নির্বিশেষে গ্রেফতার করেছে। এটা দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট যে রাজ্য সরকার রাজধর্ম পালন করছে। এটাকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া ঠিক নয়। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীও অত্যন্ত বিরক্ত। পুলিশকে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন। যারা যারা এর সঙ্গে যুক্ত দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার খুন হন। ওইদিন সকালে নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন তিনি। পাইপ লাইন মোড়ে তার ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নেমেই কাউন্সিলর তার কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরাও ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কাউন্সিলরের।