রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) জনমুখী প্রকল্পের প্রচারে কোচবিহারে বিশেষ উদ্যোগ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প নিয়ে যেভাবে রাজ্যের মানুষের জীবনকে উন্নত করেছে তা সিনেমার আকারে সমাজমাধ্যমে তুলে ধরল পার্থসারথি রায় (Partha Sarathi Roy) পরিচালিত ‘সামাজিক দায়ভার’ (Saamajik Daaybhaar)। ৬ জানুয়ারি সিতাইয়ের কেশরী বাড়ি হাই স্কুলের অনুষ্ঠানে এই ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্মটির আনুষ্ঠানিক রিলিজ করেন কোচবিহারের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া (Jagadish Chandra Barma Basunia) এবং সিতাইয়ের বিধায়ক সঙ্গীতা রায় (Sangeeta Roy)। স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই ছবিতে কোচবিহারের এক গরিব পরিবারের মেয়ের স্বপ্নপূরণের যাত্রা দৃশ্যায়িত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো একগুচ্ছ জনসেবামূলক প্রকল্প কীভাবে এক গরিব পরিবারকে সাহায্য করে তারই এক প্রতীকী গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই শর্টফিল্মে।
কোচবিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামের গরীব পরিবারের মেয়ে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু বাবা-মা অর্থের অভাবে তাঁকে স্কুলে ভর্তি করতে পারছেন না। পঞ্চায়েতে সে খবর পৌঁছতেই মেয়েটির বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিনামূল্যে পড়াশোনার কথা তাঁর পরিবারকে জানানো হয়। ১৩ বছর বয়সে ‘কন্যাশ্রী’র সুবিধা এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পর ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা কীভাবে দরিদ্র বাবার চিন্তা লাঘব করে, মেয়েটির পড়াশুনা করার ইচ্ছেকে সফল করে সেই সবটাই তুলে ধরেছেন পরিচালক। পাশাপাশি আঠারো বছর বয়সের আগে যে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ সেটাও সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পে এসেছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথাও। এই প্রকল্পের কারণে গৃহকর্তার আর্থিক দুরবস্থায় পাশে দাঁড়াতে পেরেছেন তাঁর সহধর্মিনী। কোচবিহারের সিতাই, কেশরী বাড়ি গ্রাম এবং ভারত- বাংলাদেশ বর্ডার সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির শুটিং করা হয়েছে। জনদরদী মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রাম বাংলার জীবনযাত্রাকে কতটা প্রভাবিত করেছে তা ‘সামাজিক দায়ভার’ শর্টফিল্মের মাধ্যমে সফলভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক পার্থসারথি রায়।
–
–
–
–
–
–
–
–