নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল আসারাম বাপুর। এই আবহে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট।আসলে শারীরিকভাবে তিনি খুব অসুস্থ। সেই কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাকে জামিন দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আধালত। এরই পাশাপাশি, ৮৫ বছরের স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, জেলের বাইরে থাকার সময় নিজের অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না এবং কোনও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করবেন না। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ধর্মগুরু জেল খাটছিলেন যোধপুরের সেন্ট্রাল জেলে। অসুস্থতার কারণে যোধপুরেরই আরোগ্য মেডিক্যাল সেন্টারে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। একবার হৃদরোগে আক্রান্তও হয়েছিলেন। এই পরিস্থিতে তাকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাইরে থাকার সময় আসারাম বাপুকে নজরে রাখতে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলায় ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করে। তারপর থেকে যোধপুরেই জেল খাটছেন আসারাম। এই মামলায় আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয় তাকে।
ওই মামলায় আসারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তারা হলেন আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসসি ও মীরা। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। জানা গিয়েছে, প্যারোলে একাধিকবার মুক্তি পেয়েছেন এই অপরাধী।এদিকে আসারামের অসুস্থতায় উদ্বিগ্ন তার অনুগামীরা। তারা ভিড় করেছেন হাসপাতাল চত্বরে। তাকে জামিন দিলেও, তার ওপর কড়া নজরদারি রাকা হবে বলে আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–