ঠিকই তো বলেছেন: প্রদীপের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ মন্তব্যে সিলমোহর তৃণমূল সভানেত্রীর

0
2

“সেদিন মমতাকে বহিষ্কার করা ঠিক হয়নি। আজও” বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যে সিলমোহর দিলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার, গঙ্গাসাগর থেকে ফিরে ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঠিকই তো বলেছেন।
আরও খবর: BGBS-এর প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখতে বুধবার নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী

বিধানসভা-লোকসভা পর পর নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি কংগ্রেসের। BJP বিরোধী শক্তি হিসেবে দেশে মাথা তুলে দাঁড়াতে গিয়েও আঞ্চলিক দলের কাছে রীতিমত হাত পাততে হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন দলকে। আর আঞ্চলিক দল হয়েও বিজেপিকে রুখে দিয়ে সারা দেশকে পথ দেখাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই পথই যে কংগ্রেসকে দেখানোর এই মুহূর্তে কেউ নেই। কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে কার্যত তা মেনে নিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেস আজও দল থেকে তৃণমূল নেত্রীকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত করছে। মমতাকে বহিষ্কারের আক্ষেপ নিয়ে প্রদীপ বলেন, “যেদিন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হয় তখন সোমেন মিত্রর ফোন এলো। সীতারাম কেশরীর ফোন এল, ওকে বহিষ্কার করতে হবে। কারণ আমরা বলেছি। আমি সোমেনকে বলেছিলাম তুমি কোরো না। কিন্তু সোমেনের উপর এমন চাপ তৈরি হয়েছিল যে করতে বাধ্য হয়েছে। তার প্রায়শ্চিত্তটা কংগ্রেস দলকে আজও করতে হচ্ছে। আমি জানি না এই খাদ থেকে আমরা কখন কীভাবে উঠে আসব।”

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার এই ‘প্রায়শ্চিত্ত’ মন্তব্য নিয়ে তুমুল আলোড়ন বঙ্গ রাজনীতিতে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কংগ্রেস স্বীকৃতি দেয়নি মর্যাদা দেয়নি। কোণঠাসা করেছে, বহিষ্কার করেছে। তার কুফল কংগ্রেস ভুগছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল তৈরি করেছিলেন বলেই আজ সিপিএমের পতন হয়েছে। এবং বাংলার মানুষ উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মর্যাদা দিতে, লড়াইয়ের স্পিরিটটাকে স্বীকৃতি দিতে ভুল করেছিল। বাংলার মানুষ মমতার (Mamata Banerjee) বহিষ্কারকে আদৌ সঠিকভাবে নেয়নি। তাই তাঁকে বাংলায় প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।”

এদিন গঙ্গাসাগর থেকে ফিরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাড থেকে নবান্নে যাওয়ার আগে সাংবাদিকরা এই বিষয় নিয়ে মমতাকে প্রশ্ন করলে তিনি শুধু বলেন, “ঠিক বলেছেন।” আর কোনও শব্দ ব্যয় করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। যেভাবে বর্তমানে সারাদেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা প্রশ্নের মুখে, সেভাবেই বাংলাতেও অস্তিত্ব সংকটে কংগ্রেস। INDIA-র নেতারাও মমতাকেই মুখ করার দাবি জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রদীপের মন্তব্য বিলম্বিত বোধোদয় বলছে রাজনৈতিক মহল। এবার সেই কথায় সম্মতি দিলেন খোদ তৃণমূল সভানেত্রীও।