মঙ্গলবার সুপ্রিম আদালতে (Supreme Court) ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের মামলা উঠতে চলেছে। চলতি বছরে এই মামলার এটি প্রথম শুনানি।এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (Sanjib Khanna) নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে বলে খবর মিলেছে। গত বছরের ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়। রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) তরফে দাবি করা হয়েছে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় যথাযথ নয়।কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে ১৯ হাজার জনের চাকরি বৈধ। সেক্ষেত্রে পাঁচ হাজার অবৈধ চাকরির জন্য কেন পুরো প্যানেল বাতিল হবে?
২০২৪-এর ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই (CBI)। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ মামলায় তদন্ত করতে নেমে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারেনি CBI। আবেদনকারীদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি সওয়ালে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে আমরা ১০০০০ লোক চাকরি করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সিবিআই চারটি স্তরে তদন্ত করেছে, তাঁদের বিরদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি৷ সেই ১০০০০ চাকুরিরতর ভবিষ্যত কী হবে? হাইকোর্ট এই ভাবে ২৬০০০ লোকের চাকরি বাতিল করার অর্ডার দেয় কী করে? অরিজিনাল ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁদের জীবন অন্ধকার করা যায় না!” অভিষেক মনু সিংভির মতোই ২৬০০০ চাকরি বাতিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি ওএমআর (OMR) শিটে রদবদল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। স্বপক্ষের বক্তব্য শোনার পর আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আদৌ কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে কিনা সেই খবরে নজর থাকবে।
–
–
–
–
–
–
–
–