বাংলাদেশে এপারের মৎস্যজীবীদের অত্যাচার করা হয়! আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

0
2

“কয়েকজন খুঁড়িয়ে হাঁটছে। জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি ওদের কাউকে কাউকে মারধার করা হয়েছে। হাত বেঁধে মোটা লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে“- বাংলাদেশে (Bangladesh) গিয়ে অত্যাচারিত হয়েছেন এদেশের মৎস্যজীবীরা। সোমবার, গঙ্গাসাগরে ওপার বাংলা থেকে ফেরা মৎস্যজীবীদের (Fishermen) স্বাগত জানিয়ে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মৎস্যজীবীদের হাতে আর্থিক সাহায্য ও কিছু উপহার তুলে দেন তিনি।

প্রায় ২ মাস পর বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্ত হয়ে ঘরে ফিরলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৯৫ জন মৎস্যজীবী। এদিন প্রত্যেক মৎস্যজীবীর পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকাও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, “আমরা বাংলাদেশ থেকে ৯৫ জনকে আনতে পেরেছিলাম। কিন্তু একজন ভয়ে লাফ দিয়েছিলেন তিনি মারা যান। তাই তাঁর পরিবারকে ২ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বলেন, “এতদিন যেহেতু তাঁরা জেলে ছিলেন আমি ১০ হাজার টাকা করে তুলে দিচ্ছি। তার কারণ তাঁরা বাড়ি ফিরে গিয়ে অন্তত কিছুটা গুছিয়ে নিতে পারবেন।“

মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আগে মৎস্যজীবীরা মারা গেলে কেউ খুঁজে পেত না। কিন্তু আমরা এখন একটা কার্ড দি। এই কার্ডটির বিশেষত হল ওই কার্ডটির মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারি। আমরা জানতে পারি পুলিশ স্টেশনে ডিটেন করে রাখা হয়েছে। আমরা দুই দেশ। দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারি। একটা লোক যাতে পুলিশ স্টেশন থেকে যাতে জেলে থাকতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম।”

এরপরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, ”বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমরা ওদের ভালোবাসি। কিন্তু একটা পরিস্থিতি এমন হল যে চোখে জল এসে যাওয়ার মতো। কয়েকজন খুঁড়িয়ে হাঁটছে। জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি ওদের কাউকে কাউকে মারধার করা হয়েছে। হাত বেঁধে মোটা লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে। হাতে-পায়ে মারা হয়েছে, ওরা আহত।” আহত মৎস্যজীবীদের ভালোভাবে চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, ”জলের মধ্যে অনেক সময় সীমানা ঠিক করতে পারে না। কিন্তু আমরা বারণ করব মহাজনদের, ট্রলারে যাঁরা যান তাঁদের বলব ক্রস করবেন না। সে মাছ উঠুক বা না উঠুক। বাংলাদেশের ট্রলার এখানে ঢুকে গেছিল। তাঁদের আমরা চিকিৎসা করাই, যত্ন করে রেখেছিলাম। তখন ওঁরা বুঝতে পেরেছে। দুই দেশ মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক এটা চাই।”