গোটা দেশের আনাচে কানাচে খবরের কাগজ থেকে অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যমে বা ওয়েব মাধ্যমেও বহু সাংবাদিক নিজেদের তদন্তমূলক সাংবাদিকতার মধ্যে দিয়ে নিজেদের পরিচয় তৈরি করেন। বহু সাংবাদিককে তার খেসারতও দিতে হয়েছে। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মুকেশ চন্দ্রকারের হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র নির্ভীকতার উদাহরণ হিসাবেই দেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে না। বিজেপি শাসিত ছত্তিশগড়ের অরাজকতার সাক্ষী হয়ে থাকবে তার খুনের নৃশংসতা। মুকেশের (Mukesh Chandrakar) দেহের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসকদের আতঙ্ক তৈরি করেছে ২৮ বছরের সাংবাদিকের দেহ।
সরকারের মহানুভবতায় থাকা ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকার সাংবাদিক মুকেশকে খুন করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে (septic tank) ঢুকিয়ে নতুনভাবে সেটি ঢালাই করে দেয়। সেখান থেকে যখন মুকেশের দেহ উদ্ধার হয় তখন তা যথেষ্ট পচনের দিকে গিয়েছে। তাতেও তার মাথায় গভীর ক্ষত ছিল স্পষ্ট। তবে ময়নাতদন্তে (post mortem) যাওয়ার পরে তা অবাক করে দেয় চিকিৎসকদের। তাঁদের দাবি, মাথায় অন্তত ১৫টি আঘাত করা হয়। কুঠার জাতীয় ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। অস্ত্রের আঘাতে ঘাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
তবে তার থেকেও নৃশংস শরীরের অন্যান্য অংশ। ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসে, ভারী অস্ত্রের আঘাতে ভেঙে যায় পাঁজরের চারটি হাড় (rib)। ফেটে গিয়েছিল মুকেশের হৃৎপিণ্ড (heart)। সেই সঙ্গে লিভারটি (liver) চার টুকরো হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকের দাবি, তাঁর ১২ বছরের কেরিয়ারে তিনি এমন নৃশংস দেহ দেখেননি। তাঁর অনুমান এই হত্যাকাণ্ড একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। একাধিক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারায় মৃত্যু হয়েছে ছত্তিশগড়ের সাংবাদিকের।
–
–
–
–
–
–
–