বিশ্বের কয়েকটি দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (Human Metapneumovirus) প্রকোপে বহু মানুষের অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় যে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে, তা অমূলক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল (DGHS) পর্যায়ের বৈঠকও হয়ে গিয়েছে এই অসুখ নিয়ে। তবে এই অসুখ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে (Bengalurur) দুই শিশু, গুজরাটের (Gujarat) এক ও কলকাতায় এক শিশুর শরীরে এইচএমপিভি-র অস্তিত্ব দেখা গিয়েছে। তবে বেঙ্গালুরুর এক শিশু ও কলকাতার শিশুটি ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এই ভাইরাস নতুন নয়। ২০০১ সাল থেকে এই ভাইরাসের (virus) অস্তিত্ব রয়েছে এবং বায়ুতে এই ভাইরাসের কণা রয়ে গিয়েছে যা মানুষের শরীরে নিঃশ্বাসের সঙ্গে সংক্রামিত হয়। সব বয়সের মানুষের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।
ইতিমধ্যেই ৪ জানুয়ারি এই ভাইরাস নিয়ে বৈঠক করে ফেলেছে স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ মনিটরিং কমিটি (joint monitoring committee)। সেই সঙ্গে ভারতের ভাইরাস সংক্রান্ত রিপোর্ট বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) কাছেও পাঠানো হয়েছে পর্যালোচনার জন্য, নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী। ভাইরাস নিয়ে কড়া নজরদারি স্বাস্থ্য দফতর জারি রাখলেও রাজ্যগুলির জন্য কোনও নির্দেশিকার কথা জানাননি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
–
–
–
–
–
–
–