রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার। যে কন্ট্রাক্টারের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয় সিমেন্ট দিয়ে নতুন ভাবে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছিল সেই সেপটিক ট্যাংকটি। আর এই খুনের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য ছত্তিশগড় পুলিশের হাতে।
মুকেশের দেহ উদ্ধার হয় সুরেশ চন্দ্রকারের বাড়ি থেকে। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের ১২০ কোটি টাকার একটি রাস্তা তৈরিতে দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করেছিলেন মুকেশ। যে রাস্তার প্রকল্প ৫০ কোটি টাকায় শুরু হয়েছিল, রাতারাতি সেটাকে আবার বাড়িয়ে ১২০ কোটি টাকা করে দেওয়ায় সন্দেহ জাগে সাংবাদিক মুকেশের। এরপরই তার তদন্তমূলক খবরে উঠে আসে রাস্তার বরাত পাওয়া সুরেশ চন্দ্রকার কীভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ৫০ কোটির প্রকল্প ১২০ কোটি টাকায় বাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
কন্ট্রাক্টারের পেশায় থাকা সুরেশ একটি সাধারণ দরিদ্র পরিবারের ছেলে ছিলেন। এরপর প্রথমে কংগ্রেস ও পরে বিজেপিতে যোগদানে ক্রমশ সে ফুলে ফেঁপে ওঠে। তার এই উত্থানের পিছনে কীভাবে দুর্নীতি জড়িত, তা মুকেশের তদন্তমূলক খবরে প্রকাশিত হয়ে যায়।
ছত্তিশগড় পুলিশের অনুমান রাতারাতি বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠা সুরেশের পর্দা ফাঁস করতেই মুকেশের উপর কোপ। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ছত্তিসগড় পুলিশ। কিন্তু ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুরেশ চন্দ্রকার এখনও পলাতক।
আরও পড়ুন- ফের সবুজ ঝড় পূর্ব মেদিনীপুরে! জোড়া সমবায়ে জয় তৃণমূলের
_
_
_
_
_
_
_