কেন্দ্রের বঞ্চনার পরেও কৃষিতে দেশের সেরা বাংলা! রিপোর্ট পেশ কৃষিমন্ত্রীর

0
1

সার নিয়ে কেন্দ্রের লাগাতার বঞ্চনা স্বত্বেও কৃষিতে দেশের সেরা বাংলা। ধান,পাট, আলু তিন প্রধান ফসল উৎপাদনে সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। হেক্টর প্রতি কৃষি উৎপাদনের নিরিখেও এক নম্বর জায়গায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এই তথ্য তুলে ধরেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শনিবার কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী। সেখানে কৃষি ক্ষেত্রে রাজ্যে সাফল্যগুলি তুলে ধরেন তিনি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার তুলনায় কৃষকদের জন্যে রাজ্যের নিজস্ব দুটি প্রকল্প তাদের কাছে অনেক বেশি গ্রহনযোগ্য।

কৃষিক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সব রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চূয়াল বৈঠক করেন। সেখানে তিনি এই রাজ্যে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা প্রকল্পটি কার্যকর করার উপরে জোর দিলে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তথ্য দিয়ে ঐ প্রকল্পের তুলনায় রাজ্যের কৃষকবন্ধু ও বাংলা শস্যবীমা প্রকল্প কৃষকদের কাছে অনেক বেশি কার্যকর বলে উল্লেখ করেন। শুধু কৃষকবন্ধু প্রকল্পেই রাজ্যের এক কোটি এক লক্ষ কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।রাজ্যের কৃষকদের আয় ২১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্ত্রীর দাবি। কৃষিমন্ত্রী বলেন কৃষি ক্ষেত্রে রাজ্যের বাজেটে যেখানে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেখানে কেন্দ্র তার বিভিন্ন প্রকল্পে যে টাকা দেয় তার পরিমান রাজ্য বাজেটের ৫ শতাংশর কম। শুধু এই রাজ্য নয় অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, বিহারের মত বেশ কিছু রাজ্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প গ্রহন করেনি বলে কৃষিমন্ত্রী বৈঠকে জানান। পাশাপাশি গোবিন্দভোগ চাল বিদেশে রফতানির জন্যে অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ২০২২ সালে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানালেও এখনও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন। সারের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বৈঠকে বলেন ২০২১ সালে রাজ্যের জন্যে যেখানে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ করা হত গত তিন বছরে সেটা কমিয়ে ১ লক্ষ ২৭ হাজার মেট্রিক টন করা হয়েছে। বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় সার নিয়ে কালোবাজারি বাড়ছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন- দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা, জায়গা পেলেন দলত্যাগীরা

_

_

_

_

_

_

_

_

_