মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা স্বাস্থ্য পরিষেবায় অগ্রগতি বিগত দশ বছরে রেকর্ড তৈরি করেছে। শেষ দশকে রাজ্যে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ হয়েছে দেড় লক্ষ কোটি টাকা। একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হয়েছে। বেড়েছে এমবিবিএস আসন সংখ্যা। স্বাস্থ্য সাথী থেকে বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষার ইউনিট ও ন্যায্য মূল্যে ওষুধের দোকানে তৈরিতেও নজর কেড়েছে রাজ্য।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১২ বছরে রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ ১১টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫টি। এমবিবিএস আসন ১৩০০ থেকে বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি। আড়াই কোটি পরিবার স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা পেয়েছেন। বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে ১৬০টি ইউনিট। ন্যায্য মূল্যে ওষুধের দোকানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে জেনেরিক মেডিসিন।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের বরাদ্দ প্রায় 8 গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে যা ছিল ২,৫৮৮.৯০ কোটি টাকাস তা ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে ১৯,৮৫১.৭৩ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে বাংলার ২.৪৫ কোটি পরিবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ৬৫ লক্ষের বেশি পরিবার ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়েছেন। ২০১১ সালের রাজ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সংখ্যা ছিল শূন্য। এখন রাজ্যে ৪২ টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে। ২০১১ সালে সরকারি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার ৭৬৫। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৭০০০। সরকারি ডাক্তারদের সংখ্যা ছিল ১৩৪১৩। এখন তা হয়েছে ১৮,২১৩।
আরও পড়ুন- তৃতীয় দিনেই ডাবল! দুর্বার গতিতে এগোচ্ছে সেবাশ্রয়
_
_
_
_
_
_
_