দীর্ঘদিন ধরে লাদাখের জমি-প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলন চালানোর সময় পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk) দাবি করেছিলেন, উত্তর-পূর্ব লাদাখের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে চিন (China)। সেই সময় এই কথা বলার জন্য লাদাখে (Ladakh) তাঁর আন্দোলন থামাতে সেনাবাহিনী নামিয়ে ভয় দেখানোর পথেও গিয়েছিল অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র স্বীকার করলেন লাদাখের দুটি অংশ যা চিন নিজেদের বলে দাবি করেছে, তা আদতে লাদাখের। চিনের দাবির পাল্টা কূটনৈতিক (diplomatic) পথে প্রতিবাদের কথা জানানো হলেও আদতে ওই এলাকা ভারতের দখল থেকে বেরিয়ে চিনের দখলে চলে গিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করা হয়নি।
সম্প্রতি চিনে গিয়ে সেখানকার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar) কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) যে এলাকায় চিনের আগ্রাসন হয়েছিল, সেখান থেকে সেনা সরিয়েছে চিন। এতেই স্পষ্ট আগে ভারতের কোনও এলাকায় চিনের দখলে নেই বলে যে প্রচার চালানো হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তা মিথ্যা ছিল।
এবার পালা লাদাখের (Ladakh)। ডোভালের চিন সফরের পরেই নিজেদের দুটি নতুন কাউন্টিতে (county) প্রশাসনিক কার্যক্রম ঘোষণা চিনের। সম্প্রতি চিনের সরকারি মুখপত্রে সেই ঘোষণা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তা আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এরপরই বিবৃতি প্রকাশে তৎপর হয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। জানানো হয় ভারতের অন্তর্গত লাদাখ এলাকায় চিনের বেআইনি অনুপ্রবেশ কখনও মেনে নেওয়া হয়নি। ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দীর্ঘস্থায়ী ও ধারাবাহিক অবস্থানের প্রেক্ষিতে নতুন কাউন্টির (county) প্রতিষ্ঠা কখনই সহ্য করা হবে না। সেই সঙ্গে চিনের বেআইনি ও জবরদখলকে কখনই মান্যতা দেওয়া হবে না।
তবে একবারও বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) তরফে বলা হয়নি লাদাখে জমি দখলে চিনের (China) দাবি ভুল। অরুণাচলের ক্ষেত্রে বিদেশ মন্ত্রক দাবি করেছিল চিনের ৩০টি গ্রাম দখলের দাবি ভুল ছিল। তবে লাদাখের (Ladakh) দুটি এলাকায় চিনের জবরদখলের দাবিকে উড়িয়েও দেওয়া হয়নি বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। শুধু মাত্র কূটনৈতিক পথে চিনের কাছে প্রতিবাদ জানানোর বিবৃতি দেওয়া হয়।
–
–
–
–
–
–