0
1

দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে চূড়ান্ত অভব্যতা বিজেপি (BJP) সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguli)! রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriya) ছাপার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ। শুক্রবার, রাতের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পথচলতি মানুষ-সহ অন্যান্য গাড়ির যাত্রীরা।

অভিযোগ এদিন রাত ৯টা নাগাদ প্রচণ্ড গতিতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিল তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সময়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সাংসদের গাড়ির বেলাগাম গতি নিয়ে আপত্তি করেন বাবুল। অভিযোগ, আপত্তি শুনেই তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ। বাবুলের গাড়িকে (Car) ওভারটেক করে রীতিমতো একপাশে চেপে দিতে চান বলেও অভিযোগ। ব্রিজের উপরেই সেই গাড়ি থামান বাবুল। নীলবাতি লাগানো সেই গাড়ি থামিয়ে মন্ত্রী দেখেন, পিছনের আসনে বসে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ।

অভিযোগ, সেসময়ই আচমকা পিছন থেকে ছাপার অযোগ্য ভাষায় বাবুলকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন বিচারপতি। বাবুল তাঁকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন, বিপজ্জনক গতিতে চলছিল গাড়িটি। ট্রাফিকের যে স্পিড লিমিট রয়েছে, তা মানছেন না সাংসদ। শুধু তাই নয়, নিয়ম না মেনে নীল রঙের আলো ব‌্যবহার করছেন, যা আইন বিরুদ্ধ। এই শুনে আরও খেপে যান অভিজিৎ। অকথ্য ভাষা ব‌্যবহার করেন বলে অভিযোগ।

দুই নেতার বচসায় স্থানীয় মানুষজন ও অন্যান্য গাড়ির যাত্রীদের ভিড় জমে যায়। বাবুল সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। অভিজিতের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় মানুষও। তাঁরাও বিজেপি সাংসদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। ক্ষমা না চাইলে সাংসদের গাড়ি তিনি এগোতে দেবেন না, এ কথাও তিনি বলেন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে এই বচসা চলে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। বাবুলের দাবি, সাংসদ গাড়ি থেকে নামেননি। ক্ষমাও চাননি।

আরও পড়ুন- বাড়ি ফেরার সময় সানার গাড়িতে বাসের ধাক্কা! কেমন আছেন সৌরভ কন্যা?

_

_

_

_

_

_

_