চারমাসেও অপরাজিতা বিলে অনুমোদন নেই, প্রতিবাদে উত্তর কলকাতার পথে মহিলা তৃণমূল

0
2

নারী নিরাপত্তা নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে পথ দেখিয়েছেন তা গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সবদিক থেকে উদাসীন বিজেপি সরকার চার মাসেও সেই অপরাজিতা বিলকে (Aparajita Bill) আইনে পরিণত হতে দেয়নি। তবে রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা (women security) দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। চার মাস ধরে রাজ্যের বিল আটকে রাখা কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দাবি আদায়ের পথে তৃণমূলের মহিলা নেতৃত্ব। উত্তর কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার (Shashi Panja) নেতৃত্বে মিছিল করে দাবি আদায়ের পথে নামলেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা।

শনিবার উত্তর কলকাতার রামলীলা ময়দান থেকে সিআইটি রোডের লেডিজ পার্ক পর্যন্ত মিছিল করেন মহিলা তৃণমূল নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja), কাউন্সিলর মীনাক্ষি গঙ্গোপাধ্যায়, তৃণমূলনেত্রী স্মিতা বক্সি। কেন্দ্রের নেতৃত্বের কাছে রাজ্যের অপরাজিতা বিলে (Aparajita Bill) দ্রুত অনুমোদনের দাবি তোলেন তাঁরা। মন্ত্রী শশী পাঁজার দাবি, রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা গোটা দেশের অনুসরণ করার মতো। এতে মহিলাদের প্রতি অসম্মানজনক কাজে অভিযুক্তদের জন্য কড়া অবস্থানের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচারের সুযোগ থাকছে। সেই সঙ্গে ফাঁসির মতো সর্বোচ্চ শাস্তির সুযোগও রয়েছে। যে বিচারের সুযোগ ন্যায় সংহিতায় (BNS) উল্লেখ নেই। তা সত্ত্বেও বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রপতির (President of India) অনুমোদন মিলছে না চার মাসেও।

এরপরেই দেশের সামগ্রিক নারী নিরাপত্তার চেহারা তুলে ধরে কেন্দ্রের সরকারের দুর্বল নীতির প্রতি তোপ দাগেন রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ১৭৭টি দেশের নারী নিরাপত্তায় ভারতের অবস্থান ১২৮ নম্বরে। এর থেকেই প্রমাণিত ভারতে নারীরা কতটা সুরক্ষিত। পাশাপাশি তাঁর দাবি, কোনও মহিলার প্রতি অসম্মান কোনও রাজ্যেই কাম্য নয়। সব ক্ষেত্রেই প্রতিবাদ হওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে বাংলার অপরাজিতা বিল (Aparajita Bill) আইনে পরিণত হলে তা শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেন্দ্রের অনুমোদনের অভাবে আজও একে আইন (law) বলা যাচ্ছে না, বিল (bill) বলতে হচ্ছে।