বাম জমানায় বাংলায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ানোর পরেও ছাড় পেয়ে যান CPIM-এর বহু নেতা। কিন্তু বামশাসিত কেরালায় (Kerala) আর মুক্তি হল না। কংগ্রেসের (Congress) ২ যুবনেতাকে খুনে ৫ বছরের কারাবাস হল প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক কেভি কুনহীরামন-সহ মোট ৪ জনের। সঙ্গে জরিমানাও। ওই মামলাতেই আরও সিপিএম বিধায়ক-সহ ১০ নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বাংলায় আনন্দমার্গীর সন্ন্যাসীদের হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে নেতাই নন্দীগ্রামের গণহত্যায় সিপিএম নেতা-নেত্রীরা পার পেয়ে গেলেও কেরালার পেরিয়া গণহত্যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হল CPIM বিধায়ক-সহ ১০ জনের। বাংলায় দোস্তি, কেরালায় কুস্তি- সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্কের এই দ্বিচারিতা বারবার প্রমাণিত। ২০১৯-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি। পেরিয়ায় সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল বাঁধে। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি, পরে সেটাই রূপ নেয় সংঘর্ষের। নৃশংসভাবে খুন করা হয় কংগ্রেসের ২ যুবনেতা কৃপেশ এবং শরথলালকে। তদন্তে নামে CBI। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ২৪ জনকে। ধৃতদের অধিকাংশই সিপিএম নেতা। যাঁর মধ্যে ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক কেভি কুনহীরামন এবং কানহানগড় ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান মনিকান্দন। চার্জশিট দেওয়া হয় ২৪ জনের বিরুদ্ধেই।
সাক্ষ্যগ্রহণ, সওয়াল-জবাব সহ বিচারপ্রক্রিয়া চলে ৫ বছর ধরে। তবে ২৪ জনের মধ্যে মামলা চলার সময়ই ১০ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। কংগ্রেসের ২ যুবনেতাকে খুনের ঘটনায় ধৃতদের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে বের করে আনার অভিযোগও ছিল প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের বিরুদ্ধে। ২৮ ডিসেম্বর ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। খুন, প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তালিকায় আছেন টি রণজিৎ ও এ সুরেন্দ্রন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডরে পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁদের ২ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। এর সঙ্গে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক কেডি কুনহীরামন-সহ ৪ সিপিএম নেতাকে ৫ বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–