কৃষকদের ন্যায্য দাবি বিবেচনা করার জন্য কেন প্রস্তুত নয় কেন্দ্র? কেনই বা তারা বলছে না যে, সরকার কৃষকদের অভিযোগ শুনতে প্রস্তুত? কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে আইনি নিশ্চয়তার দাবিতে কৃষকদের যে আন্দোলন চলছে, সে বিষয়ক একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে দায়ের হওয়া একটি আর্জির শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং উজ্জ্বল ভূইঞার বেঞ্চে। অনশনরত কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়ালের তরফে দায়ের হওয়া ওই মামলাতেই কেন্দ্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, কৃষকদের ন্যায্য দাবি বিবেচনা করার জন্য কেন প্রস্তুত নয় কেন্দ্র? কেনই বা তারা বলছে না যে, সরকার কৃষকদের অভিযোগ শুনতে প্রস্তুত?
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর কৃষকদের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন দাবি করে এই আবেদন করা হয়। সেই কারণেই কৃষকেরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সীমান্তে আন্দোলন করছেন বর্তমানে। কৃষক নেতা জগজিত সিং দাল্লেওয়াল গত ২৬ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালীন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।সুপ্রিম তিরস্কারের মুখে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, সরকার প্রতিটি কৃষককে নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করবে। কৃষক নেতা দাল্লেওয়ালের অনশন ভাঙতেও কেন্দ্র আলোচনায় রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি।
কৃষকদের আন্দোলনের জেরে কৃষি আইন প্রত্যাহারও করতে হয় কেন্দ্রকে। তারপরও কৃষক বিক্ষোভের রেশ কমেনি। এখনও পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের একটা বড় অংশ আন্দোলনরত। এমএসপির আইনি স্বীকৃতি-সহ মোট পাঁচটি দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা।বেঞ্চ জানায়, একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ আদালতের বিচারপতি। এই কমিটি কৃষি ও অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। কমিটির কাজ হবে কৃষকদের সমস্যা এবং দাবিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। কেন্দ্র এবং কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তাদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আরও উল্লেখ করেছে, যে কৃষকদের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি আদালতে আলোচনা সম্ভব নয়।
–
–
–
–
–
–
–