চোখের জলে নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে শেষ বিদায় জানালেন মালদহবাসী। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া— সকলের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর শেষকৃত্যসম্পন্ন হল সাদল্লাপুর মহাশ্মশানে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিকের অকালপ্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর নির্দেশের পরই এই ঘটনায় সক্রিয় হয় মালদহ জেলা পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবারই সামি আখতার (২০) ও টিঙ্কু ঘোষ (২২) নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার খুনের সঙ্গে জড়িত আব্দুল গনি (২০) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে মালদহ পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি বিহারে, অপরজনের বাড়ি ইংরেজবাজারেই। এছাড়াও দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের তিনজনকেই শুক্রবার মালদহ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে প্রিয় নেতাকে শেষবার দেখতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিড় জমান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। মর্গ থেকে দলীয় পতাকায় মোড়া তৃণমূল নেতার মরদেহ এদিন প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ইংরেজবাজারের মহানন্দা পল্লির বাড়িতে। সেখানে বাবলাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান স্ত্রী চৈতালি, পুত্র অভিনব-সহ পরিবারের অন্যরা। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। এরপর ওয়ার্ড অফিসে প্রয়াত কাউন্সিলরকে শেষ বিদায় জানান এলাকাবাসীরাও।
মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে বাবলাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি, সাবিনা ইয়াসমিন, সমর মুখোপাধ্যায়, শুভদীপ সান্যাল, সাগরিকা সরকার প্রমুখ। জেলা ক্রীড়া সংস্থায় শ্রদ্ধা জানান জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও প্রশাসকেরা। তারপর ইংরেজবাজার পুরসভায় দুলাল সরকারকে শেষ বিদায় জানান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ পুরসভার সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীরা। এরপর মালদহ শহরের রাজপথে মানুষের ঢলের মধ্যে দিয়ে সাদল্লাপুর মহাশ্মশানে বাবলা সরকারের শেষকৃত্যসম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন- লোকালয়ে হাতির হানা আটকাতে পদক্ষেপ, পরিখা খনন করবে রাজ্য
_
_
_
_
_
_
_