গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চলবে আমেরিকায়!

0
3

এবার ফের চাপে গৌতম আদানি। কারণ, ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চলবে আমেরিকায়। শুক্রবার নিউইয়র্কের আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।জানা গিয়েছে, এই সংক্রান্ত তিনটি মামলার বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস জি গারাফিস। কিছুদিন আগেই অভিযোগ ওঠে, বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিয়েছিল গৌতমের মালিকানাধীন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’। ঘুষের অঙ্ক ছিল ২৬.৫ কোটি ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২০২৯ কোটি টাকা) তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দফতর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অভিযোগপত্র পেশ করেছিল।

কী আছে ফৌজদারি অভিযোগগুলির মধ্যে? অভিযোগ, ১৯৭৭ সালে চালু হওয়া আমেরিকার ঘুষ বিরোধী আইন ‘ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাক্টিসেস আ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে আদানির সংস্থা। এরই পাশাপাশি, সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত এবং ওয়্যার ব্যবহার করে প্রতারণার ষড়যন্ত্র করেছে। দেওয়ানি আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে শেয়ার এবং ঋণপত্রের বাজারের নিয়ম লঙ্ঘন করে আদানির সংস্থা প্রতারণার ছক কষে।২০২৪-এর ২১ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ-সহ অভিযোগপত্র’ পেশ করেছিল সংস্থা এসইসি এবং ন্যায়বিচার দফতর। গৌতম আদানি, তার ভাইপো সাগর, সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর বিনীত জৈন এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত আদায় করেছিলেন। ঘুষের কথা গোপন করে আমেরিকার ব্যাঙ্ক এবং আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা তোলে এজিএল। যা প্রতারণারই সামিল।

এবার আদানিদের বিরুদ্ধে তিনটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার একসঙ্গে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, আদানিদের এর থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল।যদিও আদানি গোষ্ঠী সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে।তারা জানিয়েছে, গৌতম ও সাগরের বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়নি ইনডিক্টমেন্টে। আনা হয়েছে তথ্য গোপন করে প্রতারণার অভিযোগ। সাধারণ ভাবে ঘুষের অভিযোগের তুলনায় ওই অভিযোগের শাস্তি কম। অভিযুক্তদের শুধু জরিমানা করা হয়। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে গড়ায়।