ইজরায়েলের বিমান হানায় গাজার পুলিশপ্রধান, উপপ্রধানসহ ৭১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মহিলা ও শিশু । প্যালেস্টাইনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার পুলিশপ্রধান মাহমুদ সালাহ ও উপপ্রধান হুসসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, গাজায় সংঘর্ষবিরতির উদ্দেশে কাতারে আয়োজিত বৈঠকে অংশ নেবে তার সরকার।
গাজার কর্তৃপক্ষ বলেছে, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকার আশ্রয় শিবিরের তাঁবু লক্ষ্য করে ইজরায়েলের বিমান হামলায় গাজার পুলিশপ্রধান-উপপ্রধানসহ মোট ১১ জন নিহত হন।জানা গিয়েছে, গাজার পুলিশপ্রধান-উপপ্রধান ছাড়াও সেখানে বাকি যে ৯ জন নিহত হয়েছেন, তাঁরা বাস্তুচ্যুত প্যালেস্টাইনি। তারা আশ্রয় শিবিরে ছিলেন।
আল-মাওয়াসির এই আশ্রয় শিবির বেসামরিক প্যালেস্টাইনিদের জন্য ‘মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হামলার সময় গাজার পুলিশপ্রধান ও উপপ্রধান আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের বাছাই করে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করছিলেন।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপত্যকার পুলিশপ্রধানকে হত্যার মাধ্যমে ইজরায়েল গাজায় বিশৃঙ্খলা ছড়াতে চাইছে ও প্যালেস্টাইনিদের মানবিক দুর্ভোগকে আরও গভীর করার তৎপরতা চালাচ্ছে।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় হামলা চালিয়েছে।সেখানে হামলা চালিয়ে তারা শাহওয়ানকে হত্যা করেছে। তিনি দক্ষিণ গাজায় হামাস বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তবে পুলিশপ্রধান সালাহকে হত্যার বিষয়ে কিছু বলেনি ইজরায়েল।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অতর্কিতে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। হামলায় নিহত ইজরায়েলির সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪০০। তা ছাড়া প্রায় ৩০০ ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল হামাস। তার পরেই এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার পণ নিয়ে গত ১৫ মাস ধরে হামলা চালিয়ে প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ডটিকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইজরায়েল। এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ!আহত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজারের বেশি।
–
–
–
–
–
–