কিছু ব্যবসায়ী কম রেটে টেন্ডার পেতে সরকারি পদ্ধতির অপব্যবহার করছে। এর জেরে সরকারি প্রকল্পের টেন্ডার সংক্রান্ত নীতি নতুন করে পর্যালোচনা করবে রাজ্য। বৃহস্পতিবার, নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) এবং তথ্য সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen) টেন্ডারের বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ই-টেন্ডার হওয়ার ফলে দর কম দিয়ে অনেক সংস্থা বরাত পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পরে তাঁরা কাজ শেষ করছে না। র ফলে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। এরকম খেলাপী ক্ষেত্রে কোনও জরিমানা করার সংস্থান সরকারের নেই। এজন্য অর্থ দফতরকে কঠোর নিয়ম চালু করার জন্য আবেদন জানান অরূপ-ফিরহাদ। ওই প্রস্তাবে সায় দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টেন্ডার (Tender) সংক্রান্ত নতুন নীতি প্রস্তুত করা হবে। সেজন্য বণিকসভাগুলির ও মতামত নেওয়া হবে। সরকারি প্রকল্পে অহেতুক দেরি বরদাস্ত করা হবে না। দরকার হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। হুগলিতে এক ঠিকাদার ৬২ শতাংশ কাজ করে আর কাজ করেনি বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ওই ধরনের ঠিকাদাররা কাজের ক্ষতি করার জন্যই আসছে। সেই কারণে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও ব্যবস্থা রাখা উচিত। ঠিকাদারদের যোগ্যতা ও কাজের মান ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হোক। শুধুমাত্র কম দামে টেন্ডার (Tender) ধরে কাজ পাবে- এটা যেন না হয়। হয়তো ভালো উদ্দেশ্যেই ই-টেন্ডার করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী কম রেটে টেন্ডার পেয়ে সরকারি পদ্ধতির অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন মমতা।
–
–
–
–
–
–
–