মালদহ কাউন্সিলর খুনের চক্রান্তকারীদের চরম শাস্তি দাবি ফিরহাদের, গ্রেফতার ২

0
4

কলকাতা শহরের বুকে এড়ানো গিয়েছিল। তবে চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত প্রাণ কেড়ে নিল মালদহের তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC councilor)। কীভাবে এত বড় চক্রান্ত সম্ভব হল, কেন জেলার পুলিশ ব্যর্থ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কাউন্সিলর দুলাল সরকারের খুনের পরে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার পুরসভা (Englishbajar municipality) এলাকার ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের কারখানার বাইরেই গুলিবিদ্ধ হন কাউন্সিলর দুলাল সরকার। তিন দুষ্কৃতী তার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এরপরই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মালদহ যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মালদহে হাসপাতালে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে ফিরহাদের দাবি, তদন্ত করে যে দোষী, যেই হোক তাকে গ্রেফতার করতে হবে। এবং দৃষ্টান্তমূলক সাজা যেন হয়, এবং তাতে যেন কোনও গাফিলতি না থাকে।

সেই সঙ্গে ফিরহাদের সংযোজন, এই ঘটনার পিছনে প্ল্যানিং (planning) কারা করেছে বের করতে হবে। একটি ছেলে যে সব সময় হাসে, মিষ্টভাষী, কোনও শত্রু নেই তাকে হঠাৎ করে খুন করে গেল কী করে। যেই করে থাকুক, এত সহজে দুলাল সরকারের প্রাণ যাবে সেটা মেনে নেওয়া যাবে না।

এদিন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও (Sabina Yasmin) ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে যান পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তিনি জানান, দুলাল সরকার (Dulal Sarkar) ১৯৯৮ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনীতি করছেন। তাঁকে হারানো মানে অভিভাবক হারানো। আমরা চাই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে অপরাধীকে বের করতে হবে। যত কড়া শাস্তি সম্ভব দিতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একজন বিহারের ও একজন ইংরেজবাজারেরই বাসিন্দা বলে জানান যায়। তবে খুনে তাদের ভূমিকা কী তা স্পষ্ট করা হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিন পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে ফিরহাদ হাকিম জানান, দুজনকে গ্রেফতারের খবর জানিয়েছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতার দুই যুবকের নাম সামি আখতার ও টিঙ্কু ঘোষ। এর মধ্যে সামি বিহারের বাসিন্দা। ঘটনায় ব্যবহার করা বাইকটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।