অতুল সুভাষের মৃত্যুর তদন্তের মাঝেই একই পথে আত্মহ্ত্যা দিল্লির যুবকের। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে আত্মহত্যা (suicide) করলেন পুনিত খুরানা (Puneet Khurana) নামে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ী যুবক। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি দিল্লি পুলিশ। তবে পুনিতের পরিবারের অভিযোগ ডিভোর্সের পথে চলা স্ত্রী-এর সঙ্গে আগের রাতে প্রবল ঝামেলার পরেই নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন পুনিত।
পুনিত খুরানা ও তার স্ত্রী মনিকার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। প্রথম শুনানির পর দ্বিতীয় শুনানির আগে বিবাহ বিচ্ছেদ (divorce) দেওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত চাপায় মনিকা, অভিযোগ পুনিতের দিদির। সেই শর্ত পূরণ করা পুনিতের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এমনটা মৃত্যুর আগে ভিডিও রেকর্ডিং-এ (video recording) জানিয়েছে পুনিত।
এক ঘন্টার একটি ভিডিও মৃত্যুর আগে রেকর্ড করে পুনিত। যেখানে স্ত্রী ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনে। মাসিক খোরপোশের (compensation) পাশাপাশি ব্যবসায় যে অংশীদারিত্ব মনিকা দাবি করেছিল তা দেওয়া সম্ভব ছিল না বলেও বিস্তারিতভাবে ভিডিওতে জানায় পুনিত। তারপরেও বিবাহ বিচ্ছেদের পাঁচ শর্ত (conditions) পূরণ করার জন্য চাপ দিতে থাকে মনিকা পাহুয়া (Manika Pahwa) ও তার বাবা-মা। পুনিতের রেকর্ড করা ভিডিওর পাশাপাশি তার দিদি দাবি করেন দুজনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ফোন রেকর্ডিংও তাদের কাছে রয়েছে।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষের মৃত্যুর পর ফ্যামিলি কোর্টগুলির (Family court) ভূমিকা বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় ঠিক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ দেশের আইনমন্ত্রী। এরপর ফ্যামিলি কোর্ট ব্যবস্থায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। যদিও সেই সব পরিবর্তন কার্যকরী হওয়ার আগেই সাংসারিক দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল আরও এক যুবকের।
–
–
–
–
–
–