‘বাংলাদেশ করে দেওয়া’র ডাক দেওয়া শিল্পীরাও তৃণমূলের মঞ্চে! কটাক্ষ কুণালের

0
3

আর জি করের চিকিৎসক তরুণী খুন-ধর্ষণে দোষীর শাস্তির দাবিতে রাজ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও পথে নেমে অপরাধীর শাস্তি দাবি করেছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার পরেও বাম-অতিবাম শ্রেণি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে দখল করার চেষ্টা চালিয়েছে। একনাগাড়ে কুৎসা চালানো হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকি বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন ক্ষমতা বদলের আন্দোলনের চেহারা বাংলায় ফুটিয়ে তোলারও দাবি করা হয়েছিল। সেই সব মঞ্চে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল বহু টলিউড তারকার (tollywood artists)। যদিও আন্দোলনের হাওয়া পাতলা হতেই সেই সব সুযোগ সন্ধানী শিল্পীরা আবার সরকারি ছাতার তলায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে তৃণমূলের নামে কুৎসা করা শিল্পীরা কেন তৃণমূলের অনুষ্ঠানে ডাক পাবেন, প্রশ্ন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।

অগাস্ট মাস থেকে সিবিআই (CBI) তদন্ত, গ্রেফতারির পরেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে কুৎসার জবাব দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) দলীয় কর্মীদের সজাগ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী। সেই প্রসঙ্গেই কুণাল ঘোষ বলেন, কিছু বাম, অতি বাম, অন্ধ তৃণমূলবিরোধী এই সময় মিথ্যা, কুৎসা, ফেক অডিও (fake audio), রাজনৈতিক নাটকবাজি করে মানুষের আবেগকে বিভ্রান্ত করে, একাংশের মিডিয়ার সাহায্যে, নিজেদের ধান্দায়। জঘন্য ভাষা, রোজ নাটক, সরকারের ইস্তফার দাবি, বাংলাদেশের সরকারবদলের সঙ্গে তুলনা চলছিল।

এই প্রবল মিথ্যার ঝড় এবং আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী, আমরা দুচারজন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার (social media) সদস্যরা পাল্টা যুক্তি, ন্যায্য কথা ও জবাব নিয়ে সাধ্যমত লড়ে গিয়েছি। তাতে আমাদের ভয়ঙ্কর ব্যক্তি আক্রমণ ও বহু চোরাস্রোত সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু বাস্তব হল, আমাদের দলের অনেক নেতা, নেত্রী, জনপ্রতিনিধি তখন নীরবে বসে জল মাপছিলেন। দলের সমর্থনে বা কুৎসার বিরুদ্ধে তাঁদের মুখে একটি কথা, এমনকি পোস্টও (post) দেখা যায়নি। ইস্যুর ঝড়টা একটু কমে এলে এঁরা আবার জেগে উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে আসেন।

দলের সেই একাংশ কর্মী বা নেতারাই চিকিৎসকদের আন্দোলনে ইন্ধন জোগানো শিল্পীদের তৃণমূলের মঞ্চে ফের জায়গা করে দিচ্ছেন দেখে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি কুণাল ঘোষ। দলীয় সেই নেতৃত্বদের প্রতি কুণালের আবেদন, যে শিল্পী ‘চটিচাটা’ বলে সরকারপন্থীদের আক্রমণ করতেন, এখন শীতের জলসার পোস্টারে (poster) মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে তাঁর ছবি। আমার বক্তব্য, এটা গণতান্ত্রিক রাজ্য। যে কেউ পারফর্ম (perform) করতে পারেন। কোনো বাধা নেই। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের (TMC leaders) আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন এঁদের ডাকা হবে? আসলে যাঁরা অগাস্টের পর থেকে লড়াইটাতে ছিলেন না, সেই ভয়ংকর আক্রমণের মুখে পড়েননি, জল মাপছিলেন, তাঁরা বোধহয় এই যন্ত্রণাটা বুঝতে পারছেন না। তিনমাস আগে ‘চটিচাটা’, সরকার ফেলে দেবো, বাংলাদেশের মত পালাবে বলা শিল্পীদের আর যাই হোক, এখন তৃণমূল নেতাদের বিনোদনের মঞ্চে ডাকা যেতে পারে না। ওঁরা ডাকলেই আসবেন। কিন্তু ওই কজনকে তৃণমূল কর্মীরা বয়কট করুন। এবার পাড়ার জলসায় ওই কজনের কোনো জায়গা থাকা উচিত না। তৃণমূলপন্থীদের অনুষ্ঠানে তো নয়ই।