জাভেদ মুন্সিকে গ্রেফতারি বাংলার পুলিশেরই কৃতিত্ব: স্পষ্ট করে দিলেন রাজীব কুমার

0
10

দেশের তিন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেয় বাংলা। এক্ষেত্রে বিএসএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দেশের সীমান্ত রক্ষায়। কিন্তু যদি কোনভাবেও সেই কাজে এতোটুকু ফাঁক থাকে তাহলে তারপরে সেকেন্ড ডিফেন্স সিস্টেম (second defense system) হিসেবে কাজ করে বাংলার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ। বারবার বিভিন্ন ঘটনা সেটা প্রমাণিত হয়েছে। দেশে আনসারুল্লা বাংলা (ABT) থেকে হিজবুল মুজাহিদিনের মত জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যকলাপের বাড়ন্ত হওয়ার সময়ও সেই রাজ্য পুলিশই যে দেশের নিরাপত্তায় তাদের অটল কর্তব্যের নিদর্শন রেথেছে তা সাফ করে দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (DG Rajeev Kumar)। বেশ কয়েকদিন ধরে কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া জাভেদ মুন্সির গ্রেপ্তারি নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের গোয়ন্দা বিভাগকে। সেই সব দাবিকে নস্যাৎ করে ডিজি তথ্য পেশ করলেন জেভেদকে গ্রেফতার করেছে বাংলার পুলিশই।

রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে জঙ্গি নাশকতার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সম্প্রতি যে ভয় তৈরি করার চেষ্টা চলেছে তার উত্তর দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমার (DGP Rajeev Kumar)। তাঁর কথায় রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করতে পারেন রাজ্যের মানুষ, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জাভেদ মুন্সির গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন ডিজি রাজীব কুমার। তিনি নাম না করে জানান, জাভেদ মুন্সির গ্রেফতারি নিয়ে কৃতিত্ব নিচ্ছ অন্য অনেকেই। সেক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট করে রাখা দরকার যে জাভেদ মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গলি এসটিএফই(Bengal STF)। তিনি জানান দুদিন ধরে বেঙ্গল এসটিএফ কাশ্মীর থেকে আসা সন্দেহজনক এক ব্যক্তির উপর নজরদারি চালিয়ে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এরপর কাশ্মীর পুলিশকে সেই বিষয়ে জানানো হয়। কারণ সেই ব্যক্তি কাশ্মীর পুলিশের খাতায় অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত ছিল, এটাও বেঙ্গল এসটিএফই বের করে।

কিন্তু নিজেদের কাজ করে প্রচার পেতে আগ্রহী নয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। ফলে যে কোন তদন্ত বা গ্রেফতারির পরে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাকে জানায় রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ নিজেদের কাজকে আগেভাগে তুলে না দেওয়াতে গোটা বিষয়টাকেই কিছু মিডিয়া রাজ্য পুলিশের বিপক্ষে খাঁড়া করেছে। প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে যেন রাজ্য পুলিশের কাছে খবরই ছিল না বাংলায় ভয়ংকর সব উগ্রপন্থীরা আশ্রয় নিচ্ছে বাংলায়। সেখানেই রাজ্য পুলিশের শীর্ষতম কর্তার দাবি, রাজ্য পুলিশের পারদর্শিতার উপর রাজ্যের মানুষ সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতে পারে।